জনতার কলম আগরতলা প্রতিনিধি:- বিরোধীদের অনড় অবস্থান এবং ক্রমাগত গণ্ডগোলের কারণেই রাজ্যের উন্নয়ন সম্পর্কিত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিল রাজ্যসভায় উত্থাপিত করা যায়নি। সোমবার প্রদেশ কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য।
গ্রীষ্মকালীন অধিবেশনে ভেস্তে গেল কাজ
২১ জুলাই থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত রাজ্যসভা ও লোকসভায় গ্রীষ্মকালীন অধিবেশন চলে। সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্যের দাবি, লোকসভায় মোট নির্ধারিত ১২০ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকরী কাজ হয়েছে মাত্র ৩৭ ঘণ্টা, আর রাজ্যসভায় কাজ হয়েছে মাত্র ৪১ ঘণ্টা। অথচ এই সময়েই স্বাস্থ্য, অনলাইন গেম নিয়ন্ত্রণ এবং বিশেষত রাজ্যের জনজাতিদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশের পরিকল্পনা ছিল।
“কিন্তু বিরোধীদের লাগাতার হট্টগোলের কারণে আমরা কোনো বিল উত্থাপন করতে পারিনি। উন্নয়নমূলক বিষয়ের বদলে তারা অকারণে এসআইআর ইস্যুতে চর্চার দাবি তুলেছে,”— অভিযোগ সাংসদের।
সাংসদের কটাক্ষ বিরোধীদের উদ্দেশে
রাজীব ভট্টাচার্যের কথায়, “বিরোধীরা মূলত উন্নয়নবিরোধী। দেশের ও রাজ্যের মানুষের স্বার্থের কথা তারা ভাবে না। নির্বাচন কমিশনের মতো স্বশাসিত সংস্থার ওপর ভিত্তিহীন আলোচনা চাপিয়ে দিয়ে সংসদের মূল্যবান সময় নষ্ট করেছে তারা।”
প্রদেশ নেতৃত্বও পাশে
এই সাংবাদিক সম্মেলনে সাংসদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি প্রদেশ কমিটির সম্পাদক ও এমডিসি নন্দ ভৌমিকা রিয়াং এবং প্রদেশ মিডিয়া কনভেনার সুনিত সরকার। তাঁরাও বিরোধীদের ভূমিকার সমালোচনা করেন এবং জানান, রাজ্যবাসীর স্বার্থে বিজেপি উন্নয়নের কাজ অব্যাহত রাখবে।
সাংসদের দাবি স্পষ্ট—
বিরোধীদের জন্যই উন্নয়নমূলক বিল পেশ করা যায়নি।
রাজ্যসভা ও লোকসভা— দুই ক্ষেত্রেই কার্যকরী সময় ব্যাপকভাবে নষ্ট হয়েছে।
স্বাস্থ্য, অনলাইন গেম নিয়ন্ত্রণ, এবং আদিবাসী সমাজের উৎপাদিত পণ্যের বাজার তৈরির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিল থমকে গেছে।
অতএব, সাংসদের মতে বিরোধীদের গণ্ডগোলের খেসারত দিতে হচ্ছে সরাসরি রাজ্যের সাধারণ মানুষকে।