Site icon janatar kalam

দেশে আবারো কোভিডের তীব্রতা বৃদ্ধি, হাসপাতালগুলিকে বেড ও অক্সিজেন প্রস্তুত রাখার নির্দেশ

জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- বেশ কয়েক মাসের বিরতি দিয়ে ফের ফিরছে কোভিড। ইতিমধ্যেই ভারতের বিভিন্ন জায়গায় স্বমহিমায় ধরা দিয়েছে করোনা ভাইরাস। দিল্লি, কর্ণাটক এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মতো রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি হাসপাতালগুলিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে। দিল্লি, মহারাষ্ট্র, কেরালা, তামিলনাড়ু এবং কর্ণাটকে চলতি মাসে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। দিল্লিতে ইতিমধ্যেই ২৩ জনের শরীরে কোভিডের জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। তবে হ্যাঁ, এখনও পর্যন্ত কোভিডে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। দক্ষিণ এশিয়ায় করোনা ভাইরাসের বৃদ্ধি সম্ভবত JN.1 ভ্যারিয়েন্ট (ওমিক্রনের একটি উপ-ভেরিয়েন্ট) এর বিস্তারের কারণেই হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রূপটি বেশ ‘সক্রিয়’। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এটিকে এখনও “উদ্বেগের রূপ” হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করেনি।

কোভিডের লক্ষণ খুবই সাধারণ। আক্রান্তরা সচরাচর চার দিনের মধ্যে সেরে ওঠে। কিছু সাধারণ লক্ষণের মধ্যে রয়েছে জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথা, মাথাব্যথা, ক্লান্তি, অবসাদ। দিল্লিতে যে ২৩ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। এর ফলে বিজেপি সরকার হাসপাতালগুলিকে বিছানা, অক্সিজেন সিলিন্ডার, কোভিড টেস্ট কিট এবং ভ্যাকসিন রাখার নির্দেশ দিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী পঙ্কজ সিং এ ব্যাপারে বলেছেন, “আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। কোভিডের সর্বশেষ রূপটি একেবারে সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো।”

দিল্লির হাসপাতালগুলিকে ইন্টিগ্রেটেড হেলথ ডেটা প্ল্যাটফর্মে দৈনিক ইনফ্লুয়েঞ্জা-জাতীয় অসুস্থতা (ILI) এবং গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা (SARI) কেস আপলোড করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লি-এনসিআর শহর যেমন নয়ডা এবং গাজিয়াবাদেও করোনা ভাইরাস আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। শনিবার, নয়ডায় প্রথম কোভিড রোগীর সন্ধান মিলেছে। এক ৫৫ বছর বয়সী ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। গাজিয়াবাদেও এখনও পর্যন্ত চারটি কোভিড কেস পাওয়া গিয়েছে।

মে মাসে কেরলে ২৭৩ জন কোভিড সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সমস্ত জেলায় নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। কেরলের হাসপাতালগুলি মাস্ক বাধ্যতামূলক করেছে। কাশির লক্ষণযক্ত ব্যক্তিদের মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে।

প্রতিবেশী কর্ণাটকেও কোভিড মামলার সংখ্যা সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ৩৫টি সংক্রমণ রেকর্ড করা হয়েছে। তাদের মধ্যে হোসকোটের বাসিন্দা ৯ মাস বয়সী এক শিশুও রয়েছে। যাদের তীব্র শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তাদের পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

মে মাসে মুম্বাইতে এখন পর্যন্ত ৯৫টি কেস রিপোর্ট করা হয়েছে, যা মহারাষ্ট্রের মোট কোভিড সংক্রমণের সর্বোচ্চ। তবে হাসপাতালে ভর্তির হার কম। এ পর্যন্ত মাত্র ১৬ জন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। বিএমসি কোভিডের লক্ষণযুক্ত সকল রোগীকে করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছে।

মহারাষ্ট্রের থানেতে গত তিন দিনে কোভিডে ১০ জনেরও বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে সমস্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ মজুদ রাখা হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশে কোভিডের বৃদ্ধি দেখা যায়নি। তবুও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা,পিপিই কিট এবং ট্রিপল-লেয়ার মাস্ক সরবরাহ বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিদেশ বা ভারতের বাইরে থেকে যারা আসছেন তাদের কোভিড টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

Exit mobile version