Site icon janatar kalam

দিব্যাঙ্গ ধীরেন্দ্র মন্ডলের সামাজিক ভাতার ব্যবস্থা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ 

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- মুখ্যমন্ত্রীর সাপ্তাহিক জনসংযোগ কর্মসূচি ‘মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু’র আজ ছিল ১৬তম পর্ব। অন্যান্য দিনের মতো আজও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা জনসাধারণ একরাশ প্রত্যাশা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহার সাথে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতকারের সময় জনসাধারণ তাদের অভাব, অভিযোগ

ও সমস্যার কথা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই চিকিৎসায় সাহায্য ও কর্মসংস্থানের আর্জি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী আলাদা আলাদাভাবে প্রত্যেকের সমস্যার কথা শুনে তাদের সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দেন। আজ আগরতলার যোগেন্দ্রনগরের বাসিন্দা ৬৫ শতাংশ দিব্যাঙ্গ ধীরেন্দ্র মন্ডল সামাজিক ভাতা পাওয়ার আবেদন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। মুখ্যমন্ত্রী সাথে সাথে সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তর থেকে ধীরেন্দ্র মন্ডলের সামাজিক ভাতার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন।

খোয়াইয়ের উত্তর দুর্গানগরের বাসিন্দা দিনমজুর বীরেন্দ্র দেবনাথ কিডনি সংক্রান্ত অসুখে আক্রান্ত তার ১২ বছরের ছেলে নীহার দেবনাথের চিকিৎসায় সাহায্যের আবেদন নিয়ে আজ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এসেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী নীহারের চিকিৎসায় সহায়তার পাশাপাশি সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তর থেকে আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন৷ উত্তর ত্রিপুরার কালাছড়া রক এলাকার বাসিন্দা অমরেন্দ্র কুমার শুক্লবৈদ্য এসেছিলেন ক্যান্সার আক্রান্ত তার স্ত্রী রুবি শুক্লবৈদ্যের চিকিৎসায় সাহায্যের জন্য। মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলার পর অমরেন্দ্র বাবু তার স্ত্রীর চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সাহায্যের আশ্বাস পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। কাশীপুরের রূপন ঘোষও আজ মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতকারের সময় রূপন বাবু মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, ইন্টেসটাইন্যাল টিউবারকিউলোসিস সহ বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে তিনি চিকিৎসা করাতে পারছেন না। গান্ধীঘাটের বাসিন্দা ক্যান্সার আক্রান্ত বেবি সিন্‌হা তার চিকিৎসায় সাহায্যের জন্য আজ মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। তেমনি বড়দোয়ালীর অঞ্জনা দাস তার স্বামীর চিকিৎসায় সাহায্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এসেছিলেন। অঞ্জনা দাসের স্বামী ফুসফুসের সমস্যাজনিত রোগে ভুগছেন। আর্থিক অনটনের কারণে অঞ্জনা দাস তার স্বামীর চিকিৎসা করাতে পারছেন না।

 

মুখ্যমন্ত্রী রূপন ঘোষ, বেবি সিন্‌হা এবং অঞ্জনা দাসের স্বামীর চিকিৎসার যাবতীয় কাগজপত্র দেখে জিবি হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডা. শঙ্কর চক্রবর্তীকে তাদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। অরুন্ধতীনগরের বাসিন্দা সবজি বিক্রেতা উত্তম সাহা চিকিৎসায় সাহায্যের আর্জি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে সাহায্যের আশ্বাস পেয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে আজ রেল হকার অজিৎ দেবনাথ সহ ৫ জন মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তারা তাদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরলে মুখ্যমন্ত্রী সাথে সাথে তাদের সমস্যা সমাধানে সচিব ড. পি কে চক্রবর্তীকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে আজ নাগেরজলা এলাকার বাসিন্দা শতাব্দী চক্রবর্তী, অফিস লেনের দেবলীনা দাসগুপ্ত, বড়দোয়ালী গভর্মেন্ট প্রেসে কর্মরত কলকাতার বাসিন্দা মন্দিরা শাহ, কমলপুরের রেণুকা চক্রবর্তীর মতো আরও অনেকেই পেয়েছেন তাদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস। মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী, জিবি হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডা. শঙ্কর চক্রবর্তী, সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের যুগ্ম অধিকর্তা অরুণ দেববর্মা প্রমুখ।

Exit mobile version