Site icon janatar kalam

ত্রিপুরার কৃষিক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার দিশা দেখাল মোহনপুর: কৃষিমন্ত্রী রতন লাল নাথের বার্তা

জনতার কলম আগরতলা প্রতিনিধি:-কৃষিতে স্বনির্ভরতার পথে দ্রুত এগোচ্ছে ত্রিপুরা। কৃষির আধুনিকীকরণ এবং কৃষকদের আর্থিকভাবে শক্তিশালী করে তুলতেই আজ মোহনপুরে কৃষকদের হাতে আধুনিক কৃষিযন্ত্র, চারা গাছ, স্প্রে মেশিন ও উন্নত মানের বীজ তুলে দিল রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর। কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে কৃষিমন্ত্রী রতন লাল নাথ আত্মনির্ভর কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

মোহনপুর কৃষি মহকুমার কৃষকদের হাতে এদিন কুফরি হিমালিন জাতের উন্নত আলুর বীজও তুলে দেন মন্ত্রী। পাশাপাশি ব্লক লেভেল ফার্মার অ্যাওয়ার্ড এবং কৃষক বন্ধু অ্যাপয়েন্টমেন্ট প্রদান করা হয়।

মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্ন—ভারতকে বিশ্বের খাদ্যভাণ্ডার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। সেই লক্ষ্য পূরণে ত্রিপুরাকে অবশ্যই কৃষিতে আত্মনির্ভর হতে হবে।”

তিনি স্পষ্টভাবে জানান, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও উন্নত প্রযুক্তি কৃষিকাজকে আরও দ্রুত, দক্ষ ও লাভজনক করবে। এতে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষকদের আয়েরও উন্নতি হবে। কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্যে বারবার উঠে আসে পরিকল্পিত কৃষি উন্নয়ন এবং জেলার স্বনির্ভরতার প্রয়োজনীয়তা।

একই প্রসঙ্গে তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, “যদি উত্তর, গোমতী বা সিপাহীজলা জেলা চাল না দেয়, তবে আমরা কোথা থেকে পাব? তাই ব্লকভিত্তিক আত্মনির্ভরতা অত্যন্ত জরুরি।”

মন্ত্রী আরও জানান, একসময় মনে করা হতো ত্রিপুরায় পিঁয়াজ চাষ সম্ভব নয়। কিন্তু কৃষি বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টায় আজ রাজ্যে লাল ও সাদা—দুটো ধরনের পিঁয়াজই সফলভাবে উৎপাদিত হচ্ছে। আলু ও পিঁয়াজ চাষে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার ফলে ত্রিপুরা দ্রুত খাদ্যস্বয়ংসম্পূর্ণতার দিকে এগোচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, “চাল, আলু, পিঁয়াজ ও ডাল—এই চারটি যদি নিজের রাজ্যেই উৎপাদিত হয়, তাহলে কোনো চিন্তা নেই। ত্রিপুরায় সেই সম্ভাবনা রয়েছে, এবং আমরা সেই পথেই এগোচ্ছি।” মোহনপুরের এই কর্মসূচি রাজ্যের কৃষিক্ষেত্রে নতুন উদ্যম যোগ করেছে বলেই মনে করছেন কৃষকরা।

Exit mobile version