জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- খোদ মন্ত্রীর বাড়ির গেটের সামনেই এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে হত্যা করা হল যুবককে। পাশেই তেজস্বী যাদবের বাংলো। সরগরম বিহারের রাজ্য রাজনীতি। বিহারে দিনের পর দিন অপরাধ বেড়েই চলেছে। তবুও নির্বিকার প্রশাসন। বিহার দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজ্য। বিশেষ করে, নীতিশ জমানায় বিহারের অপরাধ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও প্রায়শই বিতর্কে থাকেন।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) প্রকাশ্য দিবালোকে বিহারের রাজধানী পটনার পোলো রোডে ভিভিআইপি এলাকায় অবস্থিত মন্ত্রী অশোক চৌধুরীর বাসভবনের সামনে একজন যুবককে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে একদল দুষ্কৃতী। সুতরাং মন্ত্রীর বাড়ির সামনেও কেউ সুরক্ষিত নয়। ঘটনাটির খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন এবং মামলার তদন্ত শুরু করেছেন। নীতীশ জমানায় বিহারে আর কত অরাজকতা দেখবে মানুষ? পুলিশের মতে, অপরাধীরা রাহুল নামে এক যুবককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
মন্ত্রীর বাড়ির সামনে থেকেই খোসাটি উদ্ধার করা হয়েছে। উভয় আক্রমণকারীই একটি বাইকে ছিল। দিনদুপুরে হামলার পর তাঁরা রাহুলের কাছ থেকে ৪০০ টাকাও ছিনিয়ে নেয়। এরপর তাঁকে হত্যা করে পালায়। তাঁদের গ্রেফতারের জন্য এখন অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। প্রতিবেদন অনুযায়ী, মন্ত্রী অশোক চৌধুরীর বাসভবনের সামনে হামলাটি ঘটে।
আরজেডি নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের ছোট ছেলে তেজস্বী যাদবের বাংলোও রয়েছে এর পাশেই। এছাড়াও আরও অনেক কর্মকর্তা ও বিচারকের বাসভবনও এখানে অবস্থিত। জায়গাটি মুলত ভিভিআইপি এলাকা নামেই পরিচিত। আজ পটনায় নতুন SSP কার্তিকেয় শর্মা দায়িত্ব গ্রহণ করতে চলেছেন। এমন পরিস্থিতিতেই এই হামলার ঘটনা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।
জেনে রাখা ভাল, গত সপ্তাহেই পটনায় প্রকাশ্য দিবালোকে আলমগঞ্জ থানা এলাকায় এক মহিলা ও তার মেয়েকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। এতে মহিলার স্বামী গুরুতর আহত হন। শহরের আরফাবাদ খালের কাছে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছিল। প্রতিবেদন অনুসারে, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত সকলকে নিকটবর্তী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়, যেখানে চিকিৎসকরা মহিলা ও তার মেয়েকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আক্রমণকারীরা অজ্ঞাত ছিল এবং তারা হঠাৎ গুলি চালাতে শুরু করেছিল, অপরাধ সংঘটনের পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এছাড়াও, গত ১৩ জুন পটনার সংলগ্ন দানাপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছিল দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটে নিউ গোসাই টোলা গোলা রোডে যেখানে যুবক শ্রাবণ কুমার তার বাড়ির কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। আক্রমণকারীরা সেখানে পৌঁছে তাকে লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হওয়ার কারণে শ্রাবণ গুরুতর আহত হন। তাড়াহুড়ো করে স্থানীয় লোকজন তাকে কাছের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করে। কিন্তু চিকিৎসার সময় তার মৃত্যু হয়। সুতরাং দিনের পর দিন বিহারের পটনায় অপরাধ বেড়েই চলেছে।