Site icon janatar kalam

তৃণমূলের মদদে বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের বাড়বাড়ন্ত, বিজেপি এই বাংলায় অনুপ্রবেশ রুখবে : মোদী 

জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বয়সের চেয়ে কংগ্রেস এবারের লোকসভা নির্বাচনে কম আসন পাবে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পশ্চিমবঙ্গকে দুর্নীতির আখড়া বানানো হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি রুপির হিসাব দেয়নি। যারা দুর্নীতি করেছে, তারা কেউ ছাড় পাবে না।

পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার ভাটপাড়ায় ও হুগলির চুঁচুড়ায় বিজেপি আয়োজিত জনসভায় নরেন্দ্র মোদি এসব কথা বলেন। একই দিনে তিনি হুগলির পুরশুড়া ও সাকরাইলে জনসভায় বক্তৃতা করেন তিনি। লোকসভার এই চার আসনে ২০ মে ভোট গ্রহণ করা হবে।

নরেন্দ্র মোদি হুগলির চুঁচুড়ায় বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের প্রচার সভায় যোগ দেন। সেখানে তিনি বলেন, তৃণমূলের কাজ হলো সন্ত্রাস আর জমি দখল। মোদি বলেন, কংগ্রেসের শাহজাদা রাহুল গান্ধীর বয়সের চেয়ে এবার কম আসন পাবে কংগ্রেস। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বিজেপি এবারের নির্বাচনে ৪০০ আসন পাবে।

এর আগে ভাটপাড়ার জনসভায় নরেন্দ্র মোদি বলেন, বাংলাকে দুর্নীতির আখড়া বানিয়েছেন মমতা এবং তৃণমূল সরকার। শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের চাকরিতে অবাধে দুর্নীতি করা হয়েছে। চাকরির জন্য ঘুষ নিয়েছে। এই মমতা সরকার ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি রুপির হিসাব দেয়নি। তাই যারা দুর্নীতি করেছে, তারা কেউ ছাড় পাবে না।

সন্দেশখালীর প্রসঙ্গ নিয়ে মোদি বলেন, দুর্নীতিবাজ আর সন্দেশখালীর সন্ত্রাসীদের মুখে বড় বড় কথা। সন্দেশখালীর ‘ত্রাস’ শেখ শাহজাহানের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্র, গোলাবারুদ। সেই শাহজাহানকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন মমতা, কিন্তু সে চেষ্টা সফল হবে না। মোদি আরও বলেন, তৃণমূলের মদদে বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের বাড়বাড়ন্ত। বিজেপি এই বাংলায় অনুপ্রবেশ রুখবে।

মোদি এ কথাও বলেন, ২০১৯ সালের সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল এবারের নির্বাচনের ফলাফলে ছাপিয়ে যাবে। গত নির্বাচনের থেকে বেশি আসনে জিতবে। কংগ্রেসের শাসনামলে যেভাবে পূর্ব ভারত বঞ্চিত হয়েছে।

এরপর মোদি তাঁর ভাষণে তাঁর পাঁচটি গ্যারান্টির কথা উল্লেখ করেন। এই পাঁচ গ্যারান্টি হলো ধর্মের ভিত্তিতে কোনো সংরক্ষণ নয়, তফসিলি জনজাতির সংরক্ষণ কেউ বন্ধ করতে পারবে না। রামনবমী পালন করতে ও রামের পূজা দিতে কেউ বাধা দিতে পারবে না। রামমন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কেউ বদলাতে পারবে না। আর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) কেউ আটকাতে পারবে না।

Exit mobile version