জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- বিভাজনের ফলে অনেক মা বোনের ইজ্জত বলুন্ঠিত হয়েছে, কোটি মানুষের প্রাণ বলিদান হয়েছে , যেটা ছিল এক বিভীষিকাময় দৃশ্য, ট্রেন এসেছে মানুষ নেই এসেছে ট্রেন ভর্তি মৃতদেহ।যা মনে হলে শরীর শিহরিত হয়ে ওঠেব। ললেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট ভারত বিভাজন হয়েছে। যার ফলে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হয়েছে বাংলা ও পাঞ্জাব।
আজও এই দুই স্থানের মানুষ বিভীষিকারময় সেই দিনগুলির কুফল ভোগ করছে। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী কখনো চাইনি দেশ বিভাজন হোক। কিন্তু একটা স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে এই দেশ বিভাজন হল। সুন্দর ভারত ভেঙ্গে টুকরো হয়ে গেল। সে সময় কত মা-বোনের ইজ্জত ভূলুণ্ঠিত হয়েছে, কত মানুষের প্রাণ গিয়েছে জঘন্যতম ভাবে।
সোমবার রাজধানীর রবীন্দ্রভবনে বিভাজন বিভীষিকাময় স্মৃতির বিভিন্ন তথ্যচিত্র তুলে ধরে আয়োজন করা হয়েছিল এক প্রদর্শনী। প্রদর্শনী পরিদর্শন করার আগে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা। সে সময়কার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে বলেন, ভাবনার অতীত ছিল সেসময়কার ঘটনা গুলি। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেব বর্মন বলেন, ভারত বিভাজনের মূল কারণ হল মাউন্ট বেটনের বিলেত ফিরে যাওয়ার তাগিদ, আর দুজনের ক্ষমতা দখলের তাগিদে। মহাত্মা গান্ধী তখন বিভাজনের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে ছিল। গান্ধীজীর সঙ্গের লোক তখন তার বিপক্ষে দাঁড়িয়ে গিয়েছে ক্ষমতার লোভে।
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত ড;জগদীশ গণ চৌধুরী বলেন, ত্রিপুরা আসাম অরুণাচল প্রদেশ কেউ ভেঙে টুকরো টুকরো করতে চেয়েছিল। কিন্তু তৎকালীন মহারাজ বীর বিক্রম কিশোর মানিক্যের জন্য ত্রিপুরাকে ভাগ করতে পারেনি। আজকের দিনে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, দেশের অখন্ড তাকে নষ্ট করেছিল তৎকালীন স্বার্থান্বেষী মহল, দেশের অখণ্ডতাকে রক্ষা করতে, দেশবাসীকে একত্রিত হয়ে এই বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস পালন করতে হবে।
এদিনের অনুষ্ঠান শেষে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন থেকে বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবসের বর্ণাঢ্য একটি রেলি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন পদ পরিক্রমা করে সিটি সেন্টারের সামনে গিয়ে সমাপ্ত হয়। রেলিতে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক সহ রাজ্য মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেছেন।