জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বেড়ে চলা পথকুকুর ও অবাধে ঘোরাফেরা করা পশুদের কারণে জননিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে শুক্রবার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ জারি করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতি বিক্রম নাথ, সনদীপ মেহতা ও এন.ভি. অঞ্জারিয়া সমন্বিত বেঞ্চ এই বিষয়ে *সুয়োমোটো* (স্বতঃপ্রণোদিত) শুনানিতে বলেন, “প্রধান জনসমাগমস্থল, হাসপাতাল, বিদ্যালয়, খেলার মাঠ, বাসস্ট্যান্ড ও রেলস্টেশনে পথকুকুরদের প্রবেশ রোধে উপযুক্ত বেষ্টনী তৈরি করতে হবে।”
বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী, স্থানীয় পুরসভা বা নগর প্রশাসনকে নিয়মিতভাবে এই স্থানগুলির তদারকি করতে হবে এবং পশু জন্মনিয়ন্ত্রণ (Animal Birth Control – ABC) নিয়ম, ২০২৩ অনুযায়ী সব পথকুকুরের টিকাকরণ ও নির্বীজন সম্পন্ন করে নির্দিষ্ট আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, “এই জনসমাগমস্থলগুলি থেকে যেসব কুকুরকে সরানো হবে, তাদের আবার সেই জায়গায় ফিরিয়ে আনা যাবে না।” আদালত আরও বলেছে, এই স্থানগুলিতে সময়ে সময়ে পরিদর্শন চালাতে হবে এবং জাতীয় মহাসড়ক ও প্রধান সড়কগুলো থেকেও অবিলম্বে গবাদি পশু ও অন্য প্রাণীদের সরাতে হবে।
বেঞ্চের নির্দেশ, “সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য সচিবদের এই নির্দেশ কঠোরভাবে কার্যকর করতে হবে। তা না হলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করা হবে।” পাশাপাশি, আট সপ্তাহের মধ্যে এই নির্দেশ বাস্তবায়নের অবস্থা জানিয়ে **কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট** জমা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে আদালত ABC নিয়ম বাস্তবায়নে গাফিলতির জন্য বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “ক্রমাগত এমন ঘটনা ঘটছে, যা শুধু নাগরিক নিরাপত্তাকেই বিপন্ন করছে না, বরং আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ করছে।”
দেশজুড়ে পথকুকুরের আক্রমণ ও রাস্তার পশুদের কারণে দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়তে থাকায়, সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ ভবিষ্যতে প্রশাসনিক উদ্যোগে নতুন দিশা আনবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

