Site icon janatar kalam

“ছয় বছরের শিশুরাও বলছে ‘মোদী ভোট চোর’, অভিযোগ রাহুলের”

জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধী মঙ্গলবার বিহারের মুজফ্‌ফরপুরে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’-য় অংশ নিয়ে বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন। একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে তিনি দাবি করেন, ভারতে ভোট চুরিই এখন বিজেপির আসল রাজনৈতিক মডেল।

রাহুল গান্ধীর অভিযোগ, “আমি যখন এখানে আসছিলাম, তখন ছয় বছরের কয়েকজন বাচ্চা আমাকে দেখে বলল— ‘নরেন্দ্র মোদী ভোট চোর।’ এত ছোট ছোট শিশুরাও এখন বুঝে গেছে, ভারতে ভোট চুরি হচ্ছে। কয়েকদিন আগে অমিত শাহ বলেছিলেন, আগামী ৪০ বছর বিজেপি ক্ষমতায় থাকবে। কেউই জানে না রাজনীতিতে কী হবে, কিন্তু অমিত শাহ নাকি ৪০ বছরের ভবিষ্যৎ জানেন! কিভাবে? ভোট চুরি করে।”

তিনি আরও বলেন, “এই ভোট চুরির রাজনীতি শুরু হয়েছিল গুজরাট থেকে, ২০১৪ সালের আগে। পরে তা জাতীয় স্তরে নিয়ে আসা হয়। যে গুজরাট মডেল নিয়ে এত প্রচার করা হয়, সেটি কোনো অর্থনৈতিক মডেল নয়, আসলে সেটিই ‘ভোট চুরির মডেল’। মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে নির্বাচন চুরি করা হয়েছে। আমরা কিছু বলিনি, কারণ প্রমাণ ছিল না। কিন্তু মহারাষ্ট্রে অতিরিক্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে, কারণ ওখানে ওরা মাত্রা ছাড়িয়ে ফেলেছিল। লোকসভা ভোটের পর মহারাষ্ট্রে প্রায় ১ কোটি ভুয়ো ভোট যোগ করা হয়েছিল, যার সবকটাই বিজেপির ঝুলিতে গেছে।”

রাহুল গান্ধী স্পষ্ট অভিযোগ করেন, “আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলছি— নরেন্দ্র মোদী ভোট চুরি করে জেতেন। এই কাজে তাঁকে সাহায্য করছে অমিত শাহ এবং ভারতের নির্বাচন কমিশন।”

তিনি আরও বলেন, “২০২৩ সালে যখন আমরা প্রমাণ পেতে শুরু করলাম, তখন তড়িঘড়ি সংসদে নতুন আইন আনা হলো। সেই আইনে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। যদি নির্বাচন কমিশনার সৎভাবে কাজ করেন, তবে এমন আইনের দরকার কী? এর একটাই কারণ— নির্বাচন কমিশন নরেন্দ্র মোদীকে ভোট চুরিতে সাহায্য করছে।”

রাহুল গান্ধীর দাবি, এই ভোট চুরি আসলে দেশের প্রান্তিক মানুষদের উপর আঘাত— “এটি EBC, দলিত, ওবিসি, সংখ্যালঘু ও দরিদ্র সাধারণ শ্রেণির উপর আক্রমণ। ভোট হারালে একদিন রেশন কার্ড, জমিজমা সব হারিয়ে যাবে। তখন দেশ স্বাধীনতার আগের দিনে ফিরে যাবে, যখন আপনাদের অপমান করা হত, সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হত, শিক্ষা দেওয়া হত না।”

রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছে। বিজেপি যদিও এর আগেই বারবার বিরোধীদের এই ধরণের অভিযোগকে ‘অবাস্তব ও ভ্রান্ত প্রোপাগান্ডা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

Exit mobile version