জনতার কলম আগরতলা প্রতিনিধি :- ত্রিপুরার গ্রামীণ অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং স্থানীয় শিল্পী-কারিগরদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করতে এক অভিনব পদক্ষেপ নিল ‘পজিটিভ বার্তা’। রবিবার ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে উদ্বোধন হল তাদের নতুন প্রকল্প ‘ই-হাট’।
এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য রাজ্যের লোকসংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং প্রযুক্তিকে একত্রিত করে একটি টেকসই অর্থনৈতিক পরিবেশ তৈরি করা। ‘ই-হাট’-এর মাধ্যমে গ্রামীণ শিল্পী, কারুশিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা এখন তাদের সৃষ্টিকে অনলাইনের মাধ্যমে বৃহত্তর বাজারে তুলে ধরতে পারবেন। এর ফলে একদিকে যেমন আয়বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি হবে, তেমনি রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী শিল্প ও সংস্কৃতিও নতুন করে পরিচিতি পাবে।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘ই-হাট’ শুধু একটি ডিজিটাল বাজার নয়, এটি এক “সৃজনশীলতা, সংস্কৃতি ও প্রযুক্তির মেলবন্ধন”, যা গ্রামীণ উন্নয়নের একটি টেকসই মডেল হিসেবে কাজ করবে। এই প্ল্যাটফর্মে স্থানীয় শিল্পী ও কনটেন্ট ক্রিয়েটররা প্রযুক্তিবিদ ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাদের কাজকে আরও বৃহত্তর পরিসরে পৌঁছে দিতে পারবেন।
পজিটিভ বার্তার মুখপাত্র লিটন আচার্যী বলেন, “ই-হাট ত্রিপুরার গ্রামীণ অর্থনীতির জন্য এক নতুন আশার আলো। এটি স্থানীয় প্রতিভা ও ঐতিহ্যের উৎসব, যেখানে ডিজিটাল উদ্ভাবন যোগ করেছে নতুন গতি। আমাদের লক্ষ্য হলো—গ্রামের শিল্পীরা যেন ডিজিটাল যুগে পিছিয়ে না পড়েন।”

