জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে রবিবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন। তিনি অভিযোগ করেন, ভোট চুরির পর এখন বিজেপি ক্ষমতা চুরির খেলায় নেমেছে। প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের অপসারণ সংক্রান্ত প্রস্তাবিত বিলকে আক্রমণ করে খড়গে বলেন, বিজেপি ৩০ দিনের মধ্যে বিরোধী সরকারগুলিকে ফেলে দেওয়ার জন্য এই আইন আনছে এবং গণতন্ত্রকে অস্থির করতে গ্রেপ্তারিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
“গণতন্ত্রের উপর বুলডোজার চালানো হচ্ছে”
হরিয়ানা ও মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস জেলা সভাপতিদের বৈঠকে খড়গে দাবি করেন, এই বিল নাগরিকদের তাদের নির্বাচিত সরকার গঠনের বা অপসারণের অধিকার কেড়ে নেবে এবং সেই ক্ষমতা ইডি-সিবিআইয়ের মতো সংস্থার হাতে তুলে দেবে। তাঁর ভাষায়, “এটি গণতন্ত্রের উপর বুলডোজার চালানোর মতো।”
সংগঠন শক্তিশালী করার বার্তা!
জেলা সভাপতিদের উদ্দেশে খড়গে বলেন, বুথ ও মণ্ডল কমিটি গঠনের সময় বিশেষ সতর্কতা নিতে হবে। যারা দলে থাকবে, তাদের কংগ্রেসের প্রতি নিষ্ঠাবান এবং পরিশ্রমী হতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন—
> “আমাদের এমন মানুষের দরকার যারা লোভ বা প্রলোভনে পড়বে না। কংগ্রেসের দীর্ঘ শাসনের পেছনে শক্তিশালী সংগঠনের বড় ভূমিকা ছিল।”
খড়গে মনে করিয়ে দেন, কংগ্রেসের প্রত্যাবর্তন সম্ভব শুধুমাত্র তখনই যখন জেলা সভাপতিদের গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং সংগঠন ঐক্যবদ্ধ থাকবে। গোষ্ঠীবাজি এড়ানোর জন্যও তিনি জেলা সভাপতিদের বিশেষভাবে সতর্ক করেন।
ভোটচুরি ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন!
কংগ্রেস সভাপতি অভিযোগ করেন, কর্ণাটকের মহাদেবপুরা আসনে ষড়যন্ত্র করে ভোট চুরি হয়েছে। ছয় মাসের গবেষণার পর এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে, কিন্তু নির্বাচন কমিশন প্রথমে কোনো জবাব দেয়নি। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, এসআইআর (ভোটার লিস্টের বিশেষ পুনঃপরীক্ষা) পরিকল্পনার মাধ্যমে বিজেপি বিরোধীদের ভোট কেটে দেয়। তাই কংগ্রেস কর্মীদের সর্বদা সতর্ক থেকে ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখতে হবে।
রাজীব–রাহুলের অবদান স্মরণ!
খড়গে বলেন, দেশে ভোটাধিকার দেওয়া কংগ্রেসেরই অবদান। রাজীব গান্ধী ভোট দেওয়ার বয়স ২১ থেকে কমিয়ে ১৮ করেছিলেন। বর্তমানে রাহুল গান্ধীর “ভোটাধিকার যাত্রা”-য় লক্ষ লক্ষ মানুষ যোগ দিচ্ছেন।
বিজেপির দ্বিচারিতা নিয়ে আক্রমণ!
খড়গে অভিযোগ করেন, বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে ১৯৩টি মামলার মধ্যে ইডি মাত্র দু’টিতে দোষী সাব্যস্ত করতে পেরেছে। বহু মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে মাসের পর মাস জেলে রাখা হয়েছে। অথচ যাদের একসময় “দুর্নীতিগ্রস্ত” বলা হতো, মোদি আজ তাঁদেরই দলে টেনে নিচ্ছেন এবং মন্ত্রী করছেন।