Site icon janatar kalam

সরকারি চাকরিতে খেলোয়াড়দের জন্য সংরক্ষণ রাখা হবে : সুশান্ত

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- সরকারি চাকরি ক্ষেত্রে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে খেলোয়াড়দের জন্যও। খুব শীঘ্রই সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে কেবিনেটে। বললেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। বাধারঘাট স্টেডিয়ামে কেন্দ্রীয় সরকারের খেলোইন্ডিয়া স্কীমের আর্থিক আনুকূল্যে এবং ত্রিপুরা সরকারের যুববিষয়ক ও ক্রীড়াদপ্তরের তত্বাবধানে বিশ্বমানের সিন্থেটিক টার্ফ হকিমাঠ নির্মাণের শুভ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন রাজ্য সরকারের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন , ফুটবলের পাশাপাশি রাজ্যে হকিখেলাকে নবরূপে জাগাতে এবং হকি খেলার পরিকাঠামোর উন্নয়নে এবং নতুন প্রতিভা অন্বেষণে সর্বোপরি হকির গুণমান বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে যুববিষয়কওক্রীড়াদপ্তর আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। রাজ্যের ক্রীড়াক্ষেত্রে হকিখেলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের যুববিষয়কওক্রীড়াদপ্তর পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে এবং এরই অঙ্গ হিসেবে শুক্রবার রাজ্যের হকি খেলোয়াড় ও হকিপ্রেমীদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের খেলোইন্ডিয়াস্কিমে ৫.৫ (সাড়ে পাঁচ) কোটি টাকা ব্যয়ে বিশ্বমানের সিন্থেটিক টার্ফ হকিমাঠের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। মন্ত্রী বলেন, শীঘ্রই এই বিশ্বমানের সিন্থেটিক টার্ফ হকিমাঠ নির্মিত হওয়ার পর এখানে নবীন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা হকি খেলা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সুবিধাগুলি তো পাবেনই, সেইসঙ্গে এখানে হকি খেলাকে একটি পেশা রূপে বেছে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়নের কাজও সুনিশ্চিত করা হবে। মন্ত্রী বলেন খেলোয়ার দের জন্য চাকরির ক্ষেত্রেও সংরক্ষন করা হবে। এছাড়াও বলেন, আমাদের দেশের মহান সন্তান মেজর ধ্যানচাঁদজি হকি খেলার মাধ্যমে সারা বিশ্বে ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন। আমার বিশ্বাস, নিকট ভবিষ্যতে আমাদের রাজ্য থেকেও মেজর ধ্যানচাঁদজির মতো প্রতিভাবান হকি খেলোয়াড় উঠে আসবে। যে খেলার সঙ্গে মেজর ধ্যানচাঁদজির মতো ক্রীড়াবিদের নাম যুক্ত, তখন তাঁর পরাক্রম তো প্রেরণা যোগায়ই, এবং তাঁর নামের মধ্যেও একটা বার্তা থাকে। মেজর ধ্যানচাঁদজির নামের মধ্যেও একটা বার্তা রয়েছে। তাঁর নামের যে প্রধান শব্দ, সেটি হল ‘ধ্যান’। ধ্যান কেন্দ্রিভূত করে কোনরকম ‘ফোকাসড অ্যাক্টিভিটি’ বা একাগ্রভাবে তৎপর হয়ে পরিশ্রম না করলে কখনও সাফল্য আসে না, আর এরজন্য এই রাজ্যের নতুন প্রজন্মের হকি খেলোয়াড়দেরও কঠিন পরিশ্রম করতে হবে। আমাদের রাজ্য সরকার হকি খেলোয়াড়দের পাশে আছে এবং আমাদের রাজ্যে হকির মানোন্নয়নের মাধ্যমে হকি খেলাকে গ্রামে গঞ্জে পৌঁছে যেতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।আগামী দিনে রাজ্যে জাতীয় স্তরের আসর বসানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এদিনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১৪-বাধারঘাট কেন্দ্রের বিধায়িকা মিমি মজুমদার, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার,ডেপুটি মেয়র মণিকা দাস (দত্ত), ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা, সোসাইটি ফর ম্যানেজমেন্ট অফ কালচারাল কমপ্লেক্স এর চেয়ারম্যান কমল দে, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের সচিব ড. প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, অধিকর্তা সুবিকাশ দেববর্মা,যুগ্ম অধিকর্তা পাইমং মগ, উপ-অধিকর্তা বনজিৎ বাগজী, বিপ্লব দত্ত সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

Exit mobile version