Site icon janatar kalam

খুঁটি পুজোর মধ্য দিয়ে বিবেকানন্দ ক্লাবেও শুরু হল প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- মাঝে আর মাত্র প্রায় দেড় মাস বাকি। এরপরেই রাজ্যের জাতি উপজাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব অংশের মানুষ মেতে উঠবেন সনাতন বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ও প্রাণের উৎসব শারদীয়া দুর্গাপুজোয়। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে এই উৎসবের কাউন্ট ডাউন। ক্লাবে ক্লাবে চলছে এখন জোরদার প্রস্তুতি। বিগত দিনের মতো এবারও রাজধানী আগরতলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমা ও জেলা শহর গুলিতে বিগ বাজেটের পুজোর আয়োজন করতে চলেছে ক্লাবগুলি। পুজোর দিনগুলিতে দর্শনার্থীদের কাছে টানতে নিত্যনতুন থিম নিয়ে আকর্ষণীয় প্যান্ডেল নির্মাণ করছে ক্লাবগুলি। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে তৈরি হতে যাওয়া পূজোমণ্ডপের নির্মাণ কাজ মূলত শুরু হয় খুঁটি পুজোর মধ্য দিয়ে। ভালো কোন শুভ দিন দেখেই পুজো উদ্যোক্তারা আয়োজন করছেন খুঁটিপুজোর। বুধবার শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী। স্বাভাবিকভাবেই দিনটি অনেকটা শুভ দিন। আর এই শুভ দিনটিতেই খুঁটিপুজোর আয়োজন বেছে নিল শহরের বেশ কয়েকটি ক্লাব। এমনটাই দেখা গেল রাজধানী আগরতলার গণরাজ চৌমনীস্থিত স্ফুলিঙ্গ ক্লাব ও ভট্টপুকুর স্বামী বিবেকানন্দ ক্লাব প্রাঙ্গণে। ধর্মীয় রীতিনীতি মেনেই এদিন এই দুটি ক্লাব পূজোর প্যান্ডেল নির্মাণের জন্য সেরে নিল খুঁটি পুজো। স্ফুলিঙ্গ ক্লাব এবছর তারাপীঠের অনুকরণে নির্মাণ করতে চলেছে ক্লাবের পুজো মন্ডপ। এবছর তাদের পুজোর বাজেট ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা। গেল বছর আগরতলা পৌর নিগমের তরফে দেওয়া শারদ সম্মানে প্রতিমায় সেরার সেরা সেরা পুরস্কার অর্জন করে স্ফুলিঙ্গ ক্লাব। এবারও লক্ষ্য দর্শনার্থীদের মন জয় করে পুরস্কার ছিনিয়ে নেওয়া। অন্যান্য বছরের মতো এবছরও পুজোকে কেন্দ্র করে নানা সামাজিক কর্মসূচি রয়েছে স্ফুলিঙ্গ ক্লাবে। মহালয়ার দিন অনাথ আশ্রমের শিশুদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, দুস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ, নবমী পূজোর দিন অন্ন ভোগ সহ রয়েছে আরও নানা কর্মসূচি। এমনটাই জানালেন ক্লাব কর্মকর্তারা।এদিকে শহরতলী ভট্টপুকুর স্বামী বিবেকানন্দ ক্লাবে এবছর দেখা যাবে সোনার দুর্গা প্রতিমা। স্থানীয় শিল্পী উত্তম চক্রবর্তী তৈরি করবেন এই প্রতিমা। এছাড়া দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করতে নিত্য নতুন থিমের প্যান্ডেল করবে এই ক্লাব। কৃষ্ণের জন্মাষ্টমীর পূন্য তিথিতে খুঁটি পুজোর মধ্য দিয়ে বিবেকানন্দ ক্লাবেও শুরু হল প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ। গেল বছর স্বল্প বাজেটের পুজো সেরার সেরা হয়েছিল এই ক্লাব। এবারও লক্ষ্য সেই পুরস্কার ধরে রাখা। ক্লাবের বাজেট মাত্র চার লক্ষ টাকা। এমনটাই জানালেন বিবেকানন্দ ক্লাবের পূজা কমিটির সম্পাদক ডক্টর কিশোর কুমার ধর।

Exit mobile version