Site icon janatar kalam

ক্যানসার চিকিৎসায় স্বদেশি বিপ্লব, বিদেশের তুলনায় ১০ গুণ সস্তায় মিলবে থেরাপি

জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের (DST) সহযোগিতায় আয়োজিত ‘উभरতি স্ট্র্যাটেজিক টেকনোলজিস অ্যান্ড ইনোভেশন কনফারেন্স’ (ESTIC) ২০২৫-এ ভারতের তিনটি বিপ্লবাত্মক স্বদেশি উদ্ভাবন দেশবাসীর উদ্দেশে উৎসর্গ করলেন।  

কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন প্রभार) জিতেন্দ্র সিং এই উদ্যোগকে “ভারতের বড় টেকনোলজি লিপ” বলে বর্ণনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন—

১️⃣ **কোয়ান্টাম সিকিউর ইন্টিগ্রেটেড প্রসেসর (QSIP)** — দেশের প্রথম স্বদেশি কোয়ান্টাম সিকিউরিটি চিপ।

২️⃣ **২৫-কিউবিট কোয়ান্টাম প্রসেসিং ইউনিট (QPU)** — ভারতের প্রথম পূর্ণাঙ্গ কোয়ান্টাম কম্পিউটিং চিপ।

৩️⃣ **সিআর-টি সেল থেরাপি (CAR-T Cell Therapy)** — ভারতের প্রথম স্বদেশি জিন-ভিত্তিক ক্যানসার চিকিৎসা প্রযুক্তি।

 

**কোয়ান্টাম সিকিউরিটি চিপ:**

এই QSIP চিপটি DRDO ও IIT মাদ্রাজের বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে তৈরি করেছেন। কোয়ান্টাম কি-ডিস্ট্রিবিউশন প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়ায় এটি হ্যাকিং-প্রতিরোধী নিরাপদ যোগাযোগ নিশ্চিত করবে। প্রতিরক্ষা, ব্যাংকিং এবং সরকারি তথ্যকেন্দ্রগুলোতে এর ব্যবহার হবে।

 

**২৫-কিউবিট কোয়ান্টাম প্রসেসর:**

IISc বেঙ্গালুরু এবং TIFR মুম্বইয়ের গবেষকদের তৈরি এই চিপ সুপারকন্ডাক্টিং কিউবিট প্রযুক্তিতে নির্মিত। এটি প্রচলিত সুপারকম্পিউটারের তুলনায় লক্ষগুণ দ্রুত গণনা করতে সক্ষম। ওষুধ তৈরি, আবহাওয়া পূর্বাভাস, আর্থিক মডেলিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রশিক্ষণে বিপ্লব আনবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই উদ্ভাবনের মাধ্যমে ভারত এখন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও কানাডার পর বিশ্বের অন্যতম কোয়ান্টাম চিপ প্রস্তুতকারী দেশ হয়ে উঠল।

 

**স্বদেশি ক্যানসার থেরাপি:**

CAR-T সেল থেরাপি তৈরি করেছে IIT বোম্বে ও টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতাল। এটি লিউকেমিয়া ও লিম্ফোমা জাতীয় রক্ত ক্যানসারের চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত খুলবে। রোগীর টি-সেল সংগ্রহ করে জেনেটিকভাবে পরিবর্তন করা হয়, যা ক্যানসার কোষ শনাক্ত করে ধ্বংস করে। বিদেশে এই চিকিৎসার খরচ যেখানে ৪–৫ কোটি টাকা, ভারতে তা মাত্র ৪০–৫০ লাখ টাকায় পাওয়া যাবে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন হলে শীঘ্রই এটি বাজারে আসবে।

মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং সামাজিক মাধ্যম ‘এক্স’-এ লিখেছেন—

“ESTIC ২০২৫ ভারতের ‘ডিপ টেক জাম্প’-এর এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত! ২ চিপ + ১ থেরাপি—এই তিন উদ্ভাবন ভারতকে বিশ্ব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির শক্তিধর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।”

 

 

Exit mobile version