জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- রানির বাজারের আসাম পাড়ায় শুরু হল কুম্ভ মেলা। বুধবার এই মেলার উদ্বোধন করেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য ।শুরুর দিন থেকেই কুম্ভ মেলার শাহী স্নান ঘাটে প্রচুর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়।
কুম্ভ মেলার সাথে জড়িয়ে গেল রাজ্যের নাম ।বুধবার থেকে রানির বাজারের আসাম পাড়ায় শুরু হয়েছে কুম্ভ মেলা। মহারাজ ববিতা নন্দ গিরির উদ্যোগে শুরু হয়েছে এই মেলা। বুধবার সকালে কুম্ভ মেলার উদ্বোধন করেন স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এবং রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য।
কুম্ভ মেলা উপলক্ষে রানির বাজারের আসাম পাড়ার কুম্ভ মেলা স্থানে প্রচুর সংখ্যক সাধু-সন্ততিদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। বিভিন্ন প্রদেশ থেকে এবং এমনকি নাগা সন্ন্যাসীরাও এই কুম্ভ মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। এদিন কুম্ভ মেলার উদ্বোধন পর্ব শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য বলেন ,সনাতন ধর্মে কুম্ভের মহাত্ম্য রয়েছে।
রাজ্যের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য রানির বাজারে কুম্ভ স্নান ও কুম্ভ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এই কুম্ভ মেলার মাধ্যমে রাজ্যের নাম বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়বে। তিনি আরো বলেন ,কুম্ভ মেলা কে কেন্দ্র করে রাজ্যে সনাতন ধর্মের প্রচার ও প্রসারের প্লাটফর্ম তৈরি হয়েছে।
কুম্ভ মেলা প্রসঙ্গে এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানান, এই কুম্ভ মেলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে কুম্ভমেলার আয়োজন নিয়ে পশ্চিম জেলার জেলা শাসকের নিকট বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়। অর্থাৎ রাজ্যের কুম্ভ মেলার প্রচার প্রধানমন্ত্রী দপ্তর পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। আগামী দিনে আন্তর্জাতিক এবং ঐতিহাসিক রূপ পাবে এই কুম্ভ মেলা।
উল্লেখ্য যে এই নিয়ে দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণ করলো রানির বাজারের আসাম পাড়ার এই কুম্ভ মেলা। এরই মধ্যে কুম্ভ মেলার আয়োজকদের দাবি মেনে মুখ্যমন্ত্রী শাহী স্নান ঘাটের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এদিন মেলার শুরুর দিন থেকেই প্রচুরসংখ্যক সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কুম্ভ মেলার শাহী স্নান ঘাটে পূর্ণ স্নান করতে দেখা গেছে।