জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- ককবরক ভাষার হরফ বিতর্ককে আর না বাড়িয়ে সমস্যার সমাধানের জন্য উদযোগী হতে রাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কংগ্রেস এবং সিপিআইএম দল এ দিন সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে পৃথক পৃথকভাবে দুই দলের নেতৃবৃন্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এই আহ্বান জানিয়েছেন। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে সিবিএসই পরিচালিত মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা এছাড়া আগামী ১ এবং ২ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ছাত্রজীবনের অতি গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি পরীক্ষা নিয়ে রাজ্যে একটি অস্থির বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে এর কেন্দ্রে রয়েছে ককবরক ভাষার হরফ বিতর্ক অধিকাংশ জনজাতিভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠনগুলি চাইছেন ককবরক ভাষার রোমান হরফ চালু করা হোক এরি ভিত্তিতে আসন্ন দুটি পরীক্ষায় ককবরক ভাষাভাষী ছাত্র-ছাত্রীদের বাংলা এবং রোমান হরফে উত্তরপত্র লেখার সম্মতি প্রদান করুক রাজ্য সরকার এই দাবিতে ইতিমধ্যে ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিকট একাধিক সংগঠন স্মারকলিপি প্রদান করেছে কিন্তু এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোন ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি এরই মধ্যে শনিবার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা বলেছেন ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে অন্যথায় এর দায়ভার নিতে হবে রাজ্য সরকারকেই। এদিন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিজ প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক তথা বিধায়ক জিতেন্দ্র চৌধুরী অভিযোগ করে জানান আর এস এস এর মদেতে অহেতুক ককবরক ভাষার হরফ নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে একটা অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এই বিতর্ক থেকে বেরিয়ে এসে রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে একটা সুষ্ঠু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।এদিকে ককবরক ভাষার হরফ নিয়ে টানাপড়েন এর ফলে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন সিবিএসই এবং ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ককবরক ভাষার পরীক্ষার্থীরা। তারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অবিলম্বে রাজ্য সরকারের সঠিক সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার সংস্কৃতি বিষয়ে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেটাই এখন দেখার বিষয়।