Site icon janatar kalam

এমবিবি বিমানবন্দরে আপগ্রেটেড আইএলএস পদ্ধতি চালু করার জন্য রাজ্যসভায় সাংসদ বিপ্লবের দাবি

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- আগরতলা এমবিবি বিমানবন্দরে প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও যেন বিমান সহসায় অবতরণ করতে পারে তার জন্য অত্যাধুনিক ইন্সট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম বা আপডেটেড আইএলএস পদ্ধতি শীঘ্রই কার্যকরী করার রাজ্য সভায় দাবি উত্থাপন করেন সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব । সম্প্রতি প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে অবতরণ করার অনুমতি না মেলায় বেশ কিছু রাজ্যমুখী বিমান ফিরে গিয়ে পার্শ্ববর্তী বিমানবন্দরে অবতরণ করতে হয়েছে। যাত্রী সাচ্ছন্দ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে, শীঘ্রই ডিজিসিএ অনুমতিক্রমে আপগ্রেটেড আইএলএস পদ্ধতি চালু করার জন্য রাজ্যসভার চলতি অধিবেশনে বিষয়টি উত্থাপন করেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব।

 

তিনি বলেন অত্যাধুনিক এমবিবি বিমানবন্দরটি আইএফআর অর্থাৎ ইন্সট্রুমেন্ট ফ্লাইট রুলস এর আওতাধীন। অতিসম্প্রতি এইএলএস পদ্ধতির নবীকরণের ফলে আংশিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। এই পদ্ধতি বিমান অবতরণের জরুরী নির্দেশিকা এবং দিশা নির্দেশনার সহায়ক । দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে বিমান অবতরণের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি ব্যবহার অত্যন্ত আবশ্যক। ইতি মধ্যেই পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে l ডিজিসিএ এর অনুমতি মিললেই শীঘ্রই এই পরিষেবা লাগু হতে পারে l যা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াতেও রাজ্যমুখী প্রত্যেক বিমানের অবতরণে সহায়তা করবে l

 

তিনি আরও উল্লেখ করেন এই শীতের মরসুমে প্রবল কুয়াশার কারণেও বিমান অবতরণে যেন বিঘ্ন না ঘটে সে ক্ষেত্রে এর বিশেষ ভূমিকা থাকবে । তাই অতি শীঘ্রই ডিজিসিএ এর অনুমতি প্রদানের মাধ্যমে এই আইএলএস পরিষেবার অত্যাধুনিক পদ্ধতিটি লাঘু করার উপর জোর দেন। শ্রী দেব বলেন খারাপ আবহাওয়ার কারণে যখন রাজ্যমুখী বিমান পার্শ্ববর্তী বিমানবন্দরে অবতরণ করতে হয় তখন যাত্রীদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, এমনকি তাদের মূল্যবান সময় এবং আর্থিক, দুই দিকেই লোকসান হয় । পাশাপাশি এদিন রাজ্যে চলমান রেললাইন নির্মাণ প্রক্রিয়ায় ওভারব্রিজ নির্মাণের বিষয়েও কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শ্রী দেব ।

 

অন্যদিকে এদিন সংসদে কেরালা থেকে বাম সাংসদ ডক্টর শিবদেষণ, এক প্রস্তাবে গোটা দেশ থেকে রাজ্যপাল পদটি বিলুপ্তির দাবি জানান ।এই প্রস্তাবের বিরোধিতায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শ্রী দেব বলেন, সংসদীয় ব্যবস্থায় কেন্দ্র ও রাজ্য নিবিড় যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের ভূমিকা অনস্বীকার্য। যুগে যুগে কমিউনিস্টরা সংবিধানকে মান্যতা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনীহার করার একাধিক দৃষ্টান্ত রেখেছে। প্রসঙ্গ টেনে, ত্রিপুরায় বিগত কমিউনিস্ট সরকারের তুলোধুনো করে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর, দেখতে পান মুখ্যমন্ত্রীর কক্ষে জাতীয় পতাকা পর্যন্ত নেই। গোটা দেশে স্বর্ণ রাজ্যের ভুয়ো ছবি তৈরী করে মানুষকে বিব্রত করা হয়েছে l উল্টো, ঋণের পাহাড় ছিল সরকারের উপর l প্রসঙ্গক্রমে, এদিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরও দৃষ্টান্ত টেনে আনেন l তিনি বলেন, ভারতীয় সংবিধানের থেকে কমিউনিস্ট সংবিধানে তাদের কাছে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি স্বাধীনতা দিবস বা প্রজাতন্ত্র দিবসেও দলীয় কার্যালয়ে কমিউনিস্টরা আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করত না l কিন্তু বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে বাধ্য হয়ে শেষ পর্যন্ত উত্তোলন করতে শিখেছেন । কমিউনিস্টরা বরাবরই সংবিধান বিরোধী, তাই তাদের এ ধরনের বক্তব্য ।

Exit mobile version