এআরসি পদ্ধতিতে রাজ্যের আলুর ফলনে খুশি নাইরোবির গবেষক ড.কল্পনা শর্মা
janatar kalam
জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- ত্রিপুরা রাজ্যকে আলু বীজ উৎপাদন এবং সবজি হিসেবে আলুর চাহিদা পূরণের জন্য স্বয়ংভর করে তোলার লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে রাজধানী আগরতলার পার্শ্ববর্তী নাগিছড়া এলাকার স্টেট হটিকালচার রিসার্চ স্টেশনের কর্মকর্তারা। বিশেষ করে এই গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান ডেপুটি ডিরেক্টর ড. রাজীব ঘোষ এর জন্য দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে চলছেন।
এই কাজের অংশ হিসেবে দক্ষিণ আমেরিকার পেরু দেশের রাজধানী লিমা শহরের আন্তর্জাতিক আলু গবেষণা কেন্দ্র থেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এপিকাল রুট কাটিং তথা এ আর সি প্রযুক্তির আলু চারা নিয়ে আসা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে জমিতে ছোট ছোট আলু গাছের চারা লাগিয়ে চাষ করা হয়। নতুন এই প্রযুক্তির আলু চাষ কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
রাজ্যে এই পদ্ধতিতে আলু চাষের বিষয়টি সরে জমিনে খতিয়ে দেখতে সোমবার আগরতলায় আসেন আন্তর্জাতিক আলু গবেষণা কেন্দ্রের দক্ষিণ আফ্রিকার নাইরোবী শাখার সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ড. কল্পনা শর্মা। এদিন তিনি নাগিছড়ার স্টেট হটিকালচার রিসার্চ স্টেশনের আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন।
এই বৈঠকে ড. রাজীব ঘোষ রাজ্যের ৮জেলায় এআরসি পদ্ধতিতে আলু চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন। সিনিয়র সায়েন্টিস্ট কল্পনা শর্মা এদিনের বৈঠক শেষের সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এআরসি পদ্ধতিতে ত্রিপুরা রাজ্যে যে ভাবে আলু চাষ করা হচ্ছে তা দেখে তিনি সন্তুষ্ট। কৃষকরা অনেক বেশি উপকৃত হচ্ছেন এই পদ্ধতিতে আলু চাষ করে তাই তাদের গোটা গবেষণা কেন্দ্র খুশি।
এর জন্য তিনি এই পদ্ধতিতে আলু চাষের সঙ্গে যুক্ত সব আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানান। আরো বলেন এই পদ্ধতির আলু চাষের বিষয় খতিয়ে দেখার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ান তিনি। তবে ত্রিপুরা রাজ্যে এই পদ্ধতির সফলতা সকলের সামনে তুলে ধরার মতো। তাদের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ত্রিপুরা সরকারের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের আলু চাষ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, যা এবছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ হচ্ছে।
তবে গবেষকদের কাজ এবং কৃষকদের উৎসাহ দেখে তারা এই প্রকল্পকে আবার বৃদ্ধি করার বিষয়ে আগ্রহী। ২০২৯-৩০ অর্থবছর পর্যন্ত এই প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করার বিষয় চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে বলেও জানান। আলুর পাশাপাশি তারা আগামী দিনের রাজ্যের চাষীদেরকে কমলা রঙ্গের মিষ্টি আলুর চাষের বিষয়ে সহায়তা করার জন্য প্রস্তুত বলে জানান।
এই কমলা রঙ্গের আলুতে অধিক পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে। যা সাধারণ মানুষ বিশেষ করে মহিলাদের জন্য খুব উপকারী। তাই তারা আলুর পাশাপাশি কমলা রঙের মিষ্টি আলুর চাষের সম্প্রসারণের জন্য আগ্রহী। নাগিছড়ায় বৈঠক শেষে তিনি রাজ্য সরকারের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের আধিকারিক ও উদ্যান এবং মৃত্তিকা সংরক্ষণ দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন।