Site icon janatar kalam

আলোচনা হবে কেবল (POK) ভারতের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া ও সন্ত্রাসীদের হস্তান্তরের বিষয়ে: মোদী

জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম ট্রুথ সোশ্যালে জানিয়েছিলেন ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছেন। তাও আবার আমেরিকার মধ্যস্থতায়। তারপরেই ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্ত্রি জানান এই তথ্য সত্য। ভারত-পাকিস্তান দুই পক্ষের মধ্যে ৪৩ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি হয়েছে।

কিন্তু পাকিস্তান তো সত্যিই সারমেয় পুচ্ছের মতো। ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ শ্রীনগরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জারি করা হয় লাল সতর্কতা। জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে ব্যাপক ব্ল্যাকআউট হয়। একইসঙ্গে ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী রাজস্থানের পোখরান এবং কাশ্মীরের বারামুল্লায় একাধিক পাকিস্তানি ড্রোনকে প্রতিহত করে। অর্থাৎ যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান। 

তাঁর মধ্যেই রবিবার সামনে এল নতুন তথ্য। ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে যে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা কেবল পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে এবং হাফিজ সঈদ ও মাসুদ আজাহারকে ভারতে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয় নিয়েই হবে। অন্য কোনও কিছু নিয়ে নয়। আগামীকাল অর্থাৎ ১২ মে সোমবার দুই দেশের ডিজিএমও এই বিষয় নিয়ে কথা বলবেন।

সরকারি সূত্র মারফত জানানো হয়েছে কাশ্মীরের বিষয়ে ভারতের অবস্থান খুব স্পষ্ট। কেবল একটি বিষয় বাকি রয়েছে, সেটি পাক-অধিকৃত কাশ্মীর (POK) ভারতে ফিরিয়ে আনা। আর কোনও বিষয়ে কথা বলার নেই। তাছাড়া যদি পাকিস্তান সন্ত্রাসীদের হস্তান্তরের বিষয়ে কথা বলে, ভারত কথা বলতে রাজি। সেই সঙ্গে একথাও অত্যন্ত স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে, “আমরা চাই না কেউ মধ্যস্থতা করুক। আমাদের কারও মধ্যস্থতার প্রয়োজন নেই।”

সরকার সূত্রে খবর, পহেলগাঁও ভিন্ন ঘটনা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ করা হয়েছে তা ছিল চল্লিশ বছরের সন্ত্রাসবাদের জবাব। ‘যুদ্ধবিরতি’ শব্দটি লেখা হলেও ভারত সরকার এই শব্দটি ব্যবহারে নারাজ। পরিবর্তে তারা ‘সমঝোতা’ শব্দের ব্যবহার করছে। এই প্রসঙ্গে সরকারি সূত্র জানিয়েছে, “অপারেশন সিঁদুর শেষ হয়নি। আমরা একটি নতুন স্বাভাবিক অবস্থায় আছি। সেই কারণেই আমরা ‘সমঝোতা’ করেছি এবং গুলি বন্ধ করার শব্দগুলি ব্যবহার করছি।”

Exit mobile version