Site icon janatar kalam

আমাকে নার্স হতে সাহায্য করুন মুখ্যমন্ত্রী :মাম্পি

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- নুন আনতে পান্তা ফুরায় পরিবারে মাম্পির নার্স হওয়ার স্বপ্ন পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়ায় আর্থিক অনটন। দারিদ্রতার সঙ্গে লড়তে সাহায্যের কাতর আবেদন জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। গোলাঘাটি বিধানসভার কাঞ্চনমালা ঋষি কলোনির দিনমজুর পরিমল ঋষি দাসের মধ্যম মেয়ে মাম্পি ঋষি দাস স্বপ্ন দেখেছিল নার্স হয়ে সেবা করবে মানুষের। কিন্তু দারিদ্রতার চরম কষাঘাতে পিছু হটাতে চাইছে মাম্পিকে। লক্ষ্যে অবিচল মাম্পি হার মানতে নারাজ। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ব্যাঙ্গালোরে তার ফাইনাল পরীক্ষা। বাবা বড় বোনকে বিয়ে দিয়ে সংসারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। দিনমজুরি করে মাম্পিকে ব্যাঙ্গালোরে নার্সিংপড়তে পাঠিয়েছিল। বাড়িতে ছোট মেয়ে পড়াশোনা করছে একাদশ শ্রেণীতে। বর্তমানে আর্থিক অনটনে মাম্পি বাড়িতে বসেই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভুগছে ধোঁয়াশায়, কে জানে কখন টাকা জোগাড় হবে, নাকি নাই হবে। আদৌ কি দিতে পারবে পরীক্ষা। এরকম নানা প্রশ্নের সরগোলে দুচোখ বেয়ে জল পড়ছে মাম্পির। কাতর আবেদন রেখেছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। যেন বাড়িয়ে দেয় সাহায্যের হাত। এদিকে মাম্পির মা ভবানী ঋষি দাস মানুষের বাড়িতে কাজ করে সংসারে কিছুটা সাহায্য করতে চাইলেও পেরে উঠতে পারছে না। ঘরে ফিরেই দেখতে পায় পড়তে পড়তে অঝরেই দুচোখ দিয়ে জল ঝরাচ্ছে মেয়ে মাম্পি। তার মুখপানে চেয়ে মা-বাবা কারোরই যেন মুখে ভাত উঠছে না। শেষ পর্যন্ত মাম্পির অনুরোধেই দ্বারস্থ হয়েছে সংবাদমাধ্যমের। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মাম্পির মা ভবানীও শেষ ভরসা স্থল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কাতর আবেদন জানিয়েছেন। যেন মেয়ের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।প্রসঙ্গত ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তায় অনেক মেধাবী ছেলে-মেয়ে উচ্চশিক্ষায় ব্রতী হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনেক অসহায় মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা: মানিক সাহা। মাম্পিদের আশা এ যাত্রায়ও হয়তো তাদেরকে বিমুখ করবে না মুখ্যমন্ত্রী।

Exit mobile version