জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- আদালতে ফের বড়সড় ধাক্কা যোগগুরু রামদেবের। দিল্লি হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার তাঁর পতঞ্জলি আয়ুর্বেদকের বিজ্ঞাপনকে ডাবর চ্যবনপ্রাশের বিরুদ্ধে অবমাননাকর প্রচার থেকে বিরত থাকার নির্দেশ জারি করেছে। কয়েক মাস আগেই দিল্লি হাইকোর্ট ভেষজ পানীয় রুহ আফজার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য সম্বলিত একটি ভিডিওর জন্য রামদেবের নিন্দা করেছিলেন। তারপর ফের একবার আদালতের কোপের মুখে পড়তে হল যোগগুরুকে। বিচারপতি মিনি পুষ্কর্ণের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে ডাবরের দায়ের করা দুটি অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আবেদন মঞ্জুর করেছে।
ডিসেম্বরে ডাবর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। তাদের অভিযোগ ছিল পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ ডাবরের চ্যবনপ্রাশকে অপমান করে নিজের একই পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ডাবর আদালতকে অবিলম্বে পতঞ্জলির এই বিজ্ঞাপনগুলি চালিয়ে যাওয়া থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছিল। কিন্তু পতঞ্জলি সেই অনুরোধ কানে তোলেনি। তারপরেই ডাবর দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে দাবি করে যে পতঞ্জলির কীর্তি কলাপে তাদের খ্যাতি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, পাশাপাশি গ্রাহকরাও বিভ্রান্ত হচ্ছেন। বার অ্যান্ড বেঞ্চের প্রতিবেদন অনুসারে, রামদেবকে বিজ্ঞাপনে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে: “জিনকো আয়ুর্বেদ অউর বেদ কা জ্ঞান নেহি, চরক, সুশ্রুত, ধন্বন্তরি অর চ্যাবনঋষি কে পরম্পরা মে ‘অরিজিনাল’ চ্যাবনপ্রাশ ক্যায়সে বনা পায়েঙ্গে?”
পতঞ্জলির মতে, তাদের নিজস্ব পণ্যে ৫১টি ভেষজ রয়েছে যেখানে ডাবরে রয়েছে ৪০টি। এই দাবি ডাবর খারিজ করে দিয়েছে। পতঞ্জলির বিজ্ঞাপনে আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে অন্যান্য ব্র্যান্ডের চ্যবনপ্রাশে পারদ রয়েছে যা শিশুদের জন্য ক্ষতিকারক। ডাবর দাবি করেছে যে এই ধরনের ‘ভুয়ো’ দাবি কেবল তাদের ব্যবসার ক্ষতি করেনি, পাশাপাশি কয়েক দশক ধরে গ্রাহকদের মধ্যে যে আস্থা তৈরি করেছিল ডাবর তাও নষ্ট হচ্ছে।
তবে পতঞ্জলি বলেছে যে তাদের বিজ্ঞাপন প্রতিযোগীদের লক্ষ্য করে নয়। তারা সরাসরি কোনও তুলনা করেনি বা তাদের নিজস্ব পণ্যকে ‘আসল’ এবং অন্যদের ‘সাধারণ’ হিসাবে চিহ্নিতও করে দেয়নি। এছাড়া তাদের বিজ্ঞাপনে ডাবরের নামও নেয়নি। পতঞ্জলি আরও বলেছে যে তাদের বিজ্ঞাপনে করা দাবিগুলি শুধুই প্রচারমূলক।
২০২৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট অ্যালোপ্যাথির বিরুদ্ধে অবমাননাকর বক্তব্যের জন্য রামদেবকে তিরস্কার করেছিল। একাধিক ক্ষমা চাওয়া এবং সুপ্রিম কোর্টে একাধিকবার ব্যক্তিগত হাজিরা দেওয়ার পরেই রামদেব এবং পতঞ্জলির বিরুদ্ধে দায়ের করা আদালত অবমাননার মামলাটি বন্ধ হয়েছিল।