জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়ন হলো সরকারের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র। রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। আগে মানুষ জায়গা জমি বন্ধক দিয়েচিকিৎসার জন্য রাজ্যের বাইরে যেতেন। কিন্তু এখন এই প্রবণতা অনেক কমেছে। আজ তুলামুড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আবাসিক কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। তিনি বলেন, জিবিপিতে ১১টি সুপার স্পেশালিটি পরিষেবা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ৭টি সুপার স্পেশালিটি বিভাগ খোলা হয়েছে। আগে একটা প্রবণতা ছিল বহি:রাজ্যের ডাক্তার দেখানোর। এখন এই প্রবণতার পরিবর্তন হচ্ছে। হাসপাতালগুলিতে লজিস্টিক সাপোর্ট বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজ্যে ২টি মেডিকেল কলেজ এবং ১টি ডেন্টাল কলেজ রয়েছে। প্রায় ২৩ বছর পর ডাক্তারদের এডহক প্রমোশন দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে বর্তমানে নার্সিং কলেজও রয়েছে।অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের জনসাধারণের কাছে চিকিৎসার সুযোগ পৌছে দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী জনআরোগ্য যোজনা চালু করেছেন। রাজ্যের প্রায় ১২ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষকে আয়ুষ্মান কার্ড দেওয়া হয়েছে। প্রায় ২ লক্ষ লোককে আয়ুষ্মান কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসায় সহায়তা দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একটা সময় হাসপাতালে পরিকাঠামোর অভাব ছিল। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য বাজেটে ১,৭৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, ১১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে জিবিপিতে সুপার স্পেশালিটি ব্লক চালু করা হবে। রাজ্যের ৩টি জেলা হাসপাতালে ট্রমা সেন্টার খোলা হয়েছে। জিবিপি হাসপাতালের শয্যা ৭২৭ থেকে বাড়িয়ে ১,৪০০ শয্যা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় বলেন, তুলামুড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীদের জন্য আবাসন ছিল না। বর্তমান সরকার তার ব্যবস্থা করেছে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে
বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার সূচনা হয়েছে। এই সংকল্প যাত্রায় কেন্দ্রীয় ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প ও বিভিন্ন পরিষেবার সুবিধা জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়াও প্রকল্পগুলি সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে। একই সাথে রাজ্যে প্রতি ঘরে সুশাসন ২.০ অভিযানের সূচনা হয়েছে। তিনি বলেন, সমাজের অন্তিম ব্যক্তির কাছে সরকারের প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে।
অনুষ্ঠানে ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন বিধায়ক অভিষেক দেবরায়। উপস্থিত ছিলেন গোমতী জিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি দেবল দেবরায়, বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার, স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব ড. সন্দীপ আর রাঠোর, গোমতী জেলার জেলাশাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা, পুলিশ সুপার নমিত পাঠক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. কমল রিয়াং, সমাজসেবী বিশ্বজিৎ সরকার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবার কল্যাণ এবং রোগ প্রতিরোধক দপ্তরের অধিকর্তা ডা. অঞ্জন দাস। সভাপতিত্ব করেন কাঁকড়াবন পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সুপ্রিয়া সাহা। উল্লেখ্য, এই আবাসন কমপ্লেক্সে ৮টি কোয়ার্টার রয়েছে। এই আবাসন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা।