জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- রাজ্যে ইতিমধ্যেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে শুরু হয়ে গেছে শারদীয়া উৎসব। যদিও তিথি অনুযায়ী আগামীকাল ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে সূচনা হবে দেবীর বোধন। তার আগেই ক্লাবে ক্লাবে চূড়ান্ত প্রস্তুতি সেরে নিয়ে এখন চলছে প্যান্ডেল উদ্বোধনের পালা। আসন্ন এই উৎসব এবছরও সুস্থ পরিবেশে অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসনিকভাবে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আগরতলা পুর নিগমের উদ্যোগেও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পুজোর শেষে প্রতিমা নিরঞ্জনের ক্ষেত্রেও এবছর পুর নিগম বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২৬ অক্টোবর প্রশাসনিকভাবে আয়োজিত কার্নিভাল এর মধ্য দিয়েই শেষ হবে প্রতিমা নিরঞ্জন প্রক্রিয়া। দশমীঘাটে পুর নিগমের কর্মীরায় প্রতিমা নিরঞ্জন করবে। এর জন্য ৯০ জন কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। প্রতিমা নিরঞ্জন যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, তার জন্য নতুনভাবে সেজে উঠছে দশমিঘাট। তাই শারদীয়া উৎসবকে সামনে রেখে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে কর্পোরেটরদের নিয়ে ফের আরো একবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হলেন পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার। নিগমের কনফারেন্স হলে আয়োজিত বৃহস্পতিবারের এই পর্যালোচনা বৈঠকে মেয়র ও কর্পোরেটররা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নিগমের আধিকারিকরা। বৈঠকে পুর নিগমের বিভিন্ন এলাকার পুজো প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেন কর্পোরেটররা। উৎসব শান্তিপূর্ণ ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে যেসব এলাকায় এখনো বিভিন্ন দিক দিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে, সেই সমস্যা গুলি যাতে দ্রুত সমাধান করা যায় তার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয় বৈঠকে। এদিন বৈঠকের ফাঁকেই মেয়র জানান, আগামী ২৬ শে অক্টোবর কার্নিভালের মধ্য দিয়েই শেষ হবে প্রতিমা নিরঞ্জন। কিন্তু কুমারঘাটে সংঘটিত ঘটনা যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য প্রতিমা নিরঞ্জনের আগে ক্লাবগুলি যেন স্থানীয় বিদ্যুৎ নিগমের কার্যালয়ে আলোচনা করে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধ করতে তখন বিদ্যুৎ নিগম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তাই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য ক্লাবগুলির প্রতি এদিন আহ্বান রাখেন মেয়র।