জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :-রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগের ক্ষেত্রে অবশেষে বিরোধীদের চাপে পড়ে পিআরটিসি বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। আগে পিআরটিসি বাধ্যতামূলক না থাকার ফলে বহির রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীরা ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে চাকুরী পাবার সুবিধা পেত। এতে করে স্বাভাবিকভাবেই বঞ্চিত হতেন রাজ্যের শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীরা। তাই বিষয়টি নিয়ে সরব হন কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে পিআরটিসি বাধ্যতামূলক করার দাবিতে বিধায়ক শ্রী রায় বর্মন ছাড়াও সোচ্চার হয় আরো বিভিন্ন সংগঠন। অবশেষে সরকার নীতিগতভাবে দাবি মেনে রাজ্যের বেকার যুবক যুবতীদের স্বার্থে নিয়োগে পিআরটিসি বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু প্রতিটি দপ্তরে এখনো পর্যন্ত পিআরটিসি বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তটির বিজ্ঞপ্তি জারি না করার ফলে তা কার্যকর করা হচ্ছে না বিভিন্ন দপ্তরে। যার ফলে বহির রাজ্যের বেকাররা এখনো রাজ্যের চাকুরী বাগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এতে করে বঞ্চিত হচ্ছেন রাজ্যের শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীরা। এবার এমনটাই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রবীর চক্রবর্তী। সোমবার আগরতলায় প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ এনে তিনি বলেন, সম্প্রতি বিদ্যুৎ নিগম ও ডেন্টাল কলেজ সহ বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগের ক্ষেত্রে পিআরটিসি বাধ্যতামূলক না থাকায় রাজ্যের শিক্ষিত বেকাররা বঞ্চনার শিকার হয়েছে। সরকারি সিদ্ধান্ত সরকারই মানছে না। তিনি আরো অভিযোগ করেন, মন্ত্রীরা ব্যস্ত এখন আখের গোছাতে। রাজ্য সরকারের একটার পর একটা দপ্তরে ভয়ঙ্কর অবস্থা তৈরি হয়েছে। পূর্ত দপ্তর সহ বেশ কয়েকটি দপ্তরে এখনো গেল বছরের বরাদ্দকৃত অর্থ অব্যায়ত রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তাই অবিলম্বে সরকারি সিদ্ধান্ত কার্যকর না করা হলে কংগ্রেস দল আগামীদিন বাধ্য হয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে।