জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- কোনভাবেই ভেজাল সামগ্রী নিয়ে ব্যবসা ও কালোবাজারি দপ্তর বরদাস্ত করবে না, মেয়াদ উত্তীর্ণ জিনিস নিয়ে ব্যবসা এবং কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে কোন ভাবেই দাম বৃদ্ধি করা চলবে না। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারি দিলেন খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। কোনভাবেই ভেজাল সামগ্রী নিয়ে ব্যবসা করা চলবে না, কালোবাজারি কোনভাবেই দপ্তর বরদাস্ত করবে না, কোনভাবেই মেয়াদ উত্তীর্ণ জিনিস নিয়ে ব্যবসা করা চলবে না, কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে কোন ভাবেই দাম বৃদ্ধি করা চলবে না। ফের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারি দিলেন খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী গত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন বাজারে নজরদারি চালিয়ে যে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল দপ্তর তার সম্পূর্ণ খতিয়ান তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের প্রতিও চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী আরও জানান , গত কয়েক মাস ধরে রেশন শপে বন্ধ থাকা ডাল সরবরাহ পুনরায় আগস্ট মাস থেকে চালু হবে। চলতি মাসে প্রত্যেককেই তাদের বরাদ্দর ডাল পাবে। ভোক্তাদের সুবিধার্থে বিপিএল এবং বিপিএল দেন প্রতি কেজি ডালের দাম ২ টাকা করে কমিয়ে দিয়েছে সরকার। ফলে বিপিএল ভুক্ত পরিবারেরা ৫৭ টাকা কেজি ধরে মসুর ডাল পাবে রেশন সব থেকে। এদিকে আগরতলা সাবরুম ট্রেন পরিষেবায় আরো একটি নতুন অতিরিক্ত ট্রেনের বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রক। বর্তমান তিনটি ডেমো ট্রেনের পাশাপাশি আরো একটি নতুন ট্রেন অর্থাৎ মোট চারটি ট্রেন চলাচল করবে আগরতলা থেকে সাবরুম পর্যন্ত। জানিয়েছেন সুশান্ত চৌধুরী। অপরদিকে আগরতলা থেকে বাংলাদেশ রেল চলাচল আগামী অক্টোবর অথবা ডিসেম্বরের মধ্যে চালু হয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রক। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং বাংলাদেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ স্থাপন হওয়ার ইঙ্গিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রক গুলি থেকে পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য ও পরিবহন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এই দিনের সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী কৈলাশহর বিমানবন্দর চালু সহ রাজ্যের পর্যটন বিকাশের নানা কর্মসূচির প্রসঙ্গও তুলে ধরেছেন। মন্ত্রী বলেন, কৈলাশহর বিমানবন্দর চালু, বাংলাদেশের সঙ্গে রেল কানেক্টিভিটি, আগরতলা বাংলাদেশের মধ্যে বিমান চলাচল, সবকিছু মিলিয়ে রাজ্যের বেকার যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানের বিরাট সুযোগ তৈরি হতে যাচ্ছে খুব শীঘ্রই। এটাই কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের আত্মনির্ভর ভারত গড়ার পরিকল্পনা।