Site icon janatar kalam

অভিভাবক কর্তৃক প্রধান শিক্ষক নিগ্রহের সুবিচার চেয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধে শিক্ষার্থীরা

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- অভিভাবক কর্তৃক স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনায় সুবিচার চেয়ে এবার আট নং আসাম আগরতলা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ সংঘটিত করল স্কুলের শিক্ষার্থীরা।অবশেষে থানার অফিসার ইনচার্জের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে। ঘটনাটি ঘটেছিল গত দশ ফেব্রুয়ারি সোমবার উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর মহকুমাধীন বাগবাসা বিধানসভার চাঁদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।

জানা গেছে,সোমবার চাঁদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জাতীয় সংগীত শেষে বিদ্যালয়ে আসে চার শিক্ষার্থী।তখন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিকাশ দাস শিক্ষার্থীদের প্রবেশে বাঁধা দিয়ে বলেন,নির্ধারিত সময়ের পর স্কুলে আসায় আর তুমাদের স্কুলে প্রবেশ করা যাবে না।এতটুকু ঠিকঠাক থাকলেও চার শিক্ষার্থীর সাথে থাকা পূজা নাথের মা সুমতি বর্ধন বিদ্যালয়ে এসে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে মারধর সহ জুতো পেটা শুরু করেন বলে অভিযোগ।

মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় চুরাইবাড়ি থানায়।খবর পেয়ে স্হানীয় থানার পুলিশ বিদ্যালয়ে ছুটে এসে অভিযুক্ত মহিলাকে থানায় নিয়ে গেলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। পরে এদিন বিদ্যালয় পরিচালন কমিটি সহ অত্র এলাকার বিশিষ্ট জনেরা ঘটনাটি মিমাংসার উদ্যোগ গ্রহন করেন। সাথে অভিযুক্ত মহিলাকেও এদিন বিকেলে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

কিন্তু পরের দিন অর্থাৎ গত মঙ্গলবার অভিযুক্ত মহিলা ধর্মনগর আই এস অফিসারের নিকট ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ করে বিচার প্রার্থী হন। এই খবর চাউর হতেই বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে চাঁদপুর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিগ্রহের সুবিচার চেয়ে আট নং আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের চাঁদপুর এলাকায় অবরোধ করে বসে।

জাতীয় সড়ক অবরোধের জেরে অবরোধ স্হলের উভয় পাশে গাড়ির দীর্ঘ লাইন পড়ে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্হানীয় থানার অফিসার ইনচার্জ খোকন সাহা। তিনি অবরোধকারী শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন,আক্রান্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের তরফে অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবশেষে অফিসার ইনচার্জের আশ্বাসে আশ্বস্ত হয়ে সকাল দশটা পাঁচ মিনিট নাগাদ শিক্ষার্থীরা তাদের অথ অবরোধ প্রত্যাহার করে।পরে স্বাভাবিক হয় যান চলাচল। এখন দেখার বিষয় আক্রান্ত ভার প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লিখিত থানায় অভিযোগ করেন কি না।

Exit mobile version