Site icon janatar kalam

‘অপারেশন সিঁদুর’ প্রত্যাঘাত অভিযান সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে অবহিত করতে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রধানমন্ত্রী

জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার সফল বদলা নিয়েছে ভারতীয় সেনা। গতকাল মঙ্গলবার (৬ মে) মধ্যরাতে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে লস্কর-ই-তৈয়বা, জইশ-ই-মহম্মদ ও হিজবুল মুজহিদিনের মতো জঙ্গি সংগঠনের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। বুধবার (৭মে) ওই প্রত্যাঘাতের বিষয়ে প্রমাণও হাজির করেছে ভারতীয় সেনা। ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে ওই প্রত্যাঘাত অভিযান সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে অবহিত করতে রাষ্ট্রপতি ভবনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি দেশের বিরোধী দলের নেতাদেরও অভিযান সম্পর্কে অবহিত করতে আগামিকাল বৃহস্পতিবার (৮ মে) সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছে সরকারের তরফে। ওই বৈঠকে অবশ্য প্রধানমন্ত্রী

গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে এক রিসর্টে অতর্কিতে হানা দিয়ে ২৬ নিরীহ পর্যটককে নৃশংসভাবে খুন করে পাকিস্তানি জঙ্গিরা। ওই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ফুঁসে উঠেছিল গোটা দেশবাসী। পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার দাবি উঠেছিল। ওই দাবির মুখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশ্বাস দেন, ‘পহেলগাঁওয়ের হামলাকারীদের কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। জঙ্গি ও তাদের মদতদাতাদের এমন শাস্তি দেওয়া হবে যে তারা কল্পনাও করতে পারবে না।’

২৬ নিরীহ পর্যটকের হত্যালীলার পরেই জঙ্গিদের ইন্ধনদাতা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে মোদি সরকার। সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত রাখার পাশাপাশি পাকিস্তানি পণ্য আমদানি-রফতানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আটারি সীমান্ত। ভারতীয় বন্দরে পাকিস্তানি জাহাজের প্রবেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। চিঠি লেন-দেনের ক্ষেত্রেও বিাধীনষেধ আরোপ করা হয়েছে। যদিও পহেলগাঁও কাণ্ডের ১৫ দিন কেটে যাওয়া সত্বেও ভারতীয় সেনা প্রত্যাঘাতের পথে না হাঁটায় সাধারণ মানুষের মনে খানিকটা অসন্তোষ দানা বাঁধতে শুরু করেছিল।

ভারতীয় সেনা গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার (৬ মে) রাতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কোটলি, বাহাওয়ালপুর এবং মুজফফরাবাদ সহ একাধিক জায়গায় ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে বাহাওয়ালপুরের ঘাঁটিতে লস্কর-ই-তৈয়বার প্রধান হাফিজ সইদ উপস্থিত ছিলেন। ভারতীয় সেনার তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতের বিরুদ্ধে যেসব জায়গা থেকে জঙ্গি হামলার চক্রান্ত চলছিল, সেই ঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনও পাকিস্তানি সেনা কাঠামোকে নিশানা বানানো হয়নি। পাকিস্তানের পাল্টা হামলা প্রতিহত করতে ইতিমধ্যেই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম চালু করে দিয়েছে ভারত।

Exit mobile version