জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- ক্রেতা সুরক্ষা অভিযানে নেমে চক্ষু চরক গাছ মহকুমা প্রশাসকদের। বৈধ রশিদ ছাড়াই দেদার বিক্রি হচ্ছে পাইকারি মূল্যে জিনিসপত্র। মালামাল কেনাবেচায় ব্যাপক অসংগতি। শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে প্রশাসন। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর পাইকারি ও খুচরা মূল্য প্রায়ই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ জমা পড়ছে ক্রেতা সুরক্ষা ও ভোক্তা বিষয়ক দফতরে। সম্প্রতি রাজ্যের নয়া খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীও ক্রেতা স্বার্থ ও সুরক্ষার বিষয়ের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বাজারগুলোর উপর নিয়ন্ত্রণ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন দপ্তর আধিকারিকদের। সে অনুসারে দপ্তর আধিকারিকরাও প্রতিনিয়ত রাজধানী আগরতলার সব কয়টি বাজার পরিদর্শন করছেন। সোমবার সদর মহাকুমা প্রশাসন ও খাদ্য দপ্তর যৌথভাবে রাজধানীর মহারাজগঞ্জ বাজারে অভিযানে নেমেছে। অভিযান কালে ছোট ব্যবসায়ী ও পাইকারি বিক্রেতাদের মধ্যে রশিদ বিনিময় সংক্রান্ত ব্যাপক অনিয়ম চোখে পড়েছে আধিকারিকদের। অভিযোগ পাইকারি বিক্রেতারা কখনোই ছোট দোকানদারদের পাক্কা রশিদ দিচ্ছে না। সাধারণ কাগজে শুধুমাত্র হিসেব ধরিয়ে দিচ্ছে। যার খেসারতে যে কোন সময় ছোট ব্যবসায়ীরা মালামাল নিয়ে যেতে রাস্তায় বিপাকে পড়তে পারে। এছাড়া সঠিক পাইকারি মূল্যও তাদের অজ্ঞাতসারেই থেকে যাচ্ছে। পাইকারি বিক্রেতারা যে মূল্য নির্ধারণ করছে সে মূল্যেই মাল কিনতে হচ্ছে ছোট ব্যবসায়ীদের। যার জন্য বাজারেও জিনিসপত্রের অগ্নিমূল্য পরিলক্ষিত হয়। এই অসংগতি রুখতে খাদ্য দপ্তর ও মহকুমা প্রশাসন এখন থেকে প্রতিনিয়ত নজরদারি চালাবে বাজার গুলিতে। জানিয়েছেন, ডিসিএম রঞ্জিত কুমার দাস। সোমবার মহারাজগঞ্জ বাজারে অভিযান কালে মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিক ও খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা পাইকারি ও ক্ষুদ্র দোকানদারদের মধ্যে মালপত্র বেচাকেনা ও পাক্কা রশিদ নিয়ে অনেক অসংগতি পেয়েছে। তবে মহকুমা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে যে কোনও ব্যবসায়ীর মানহানি করার উদ্দেশ্যে এই অভিযান নয়। শুধুমাত্র মূল্যবৃদ্ধির নিয়ন্ত্রণ ও পাক্কা রশিদ ব্যবহারের উপর খবরদারি করবে প্রশাসন।