জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- শহরে নেই রাতে পুলিশের টহলদারি, প্রতিদিন ঘটছে ছিচকে চুরির ঘটনা। আর এ ধরনের ঘটনাগুলি ঘটে চলেছে রাজধানীর পূর্ব ও পশ্চিম থানার নাকের ডগায়। সর্বোচ্চ খুইয়ে বাড়ির মালিকরা মুখাপেক্ষী হয়ে থাকে পুলিশের। সম্প্রতি চুরির ঘটনা মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়েছে রাজধানীর পূর্ব থানার আশপাশ এলাকায়। চোরের দল হানা দিয়ে সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়াদের। গত কয়েকদিন ধরে পরপর চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে রাজধানীর কল্যাণী, দক্ষিণ ধলেশ্বর, ধলেশ্বর বিএসসি সংলগ্ন আশপাশ এলাকায়। কল্যাণীতে একটি দোকানে চুরির ঘটনার পর দক্ষিণ ধলেশ্বর এলাকায় পরপর দুটি বাড়িতে একই রাতে চুরির ঘটনা সংঘটিত হয়।চোরের দল বাড়ির জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে স্বর্ণালংকার সহ দুটি বাড়ি থেকে নগদ প্রায় এক লক্ষ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। স্বর্ণালংকার এর পরিমাণও দুটি বাড়ি মিলে প্রায় 2–3 ভরি হবে বলে জানিয়েছেন বাড়ির ভাড়াটিয়ারা | অভিযোগের আঙ্গুল তুলছে পুলিশের দিকে। রাত্রিবেলা সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে বারোটার পরেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। অন্ধকারে বেড়ে যায় চোরের দলের আনাগোনা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পুলিশ দক্ষিণ ধলেশ্বর, ধলেশ্বর বি ওসি, কল্যাণী, বাঁধের পাড় সংশ্লিষ্ট এলাকা গুলিতে রাতে টহলদারি বাড়ালেই চোরের দলের আনাগোনা অনেকটাই কমে যেত। বর্তমানে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়ারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। দাবি অবিলম্বে বাড়ানো হোক এই সমস্ত এলাকাগুলিতে পুলিশী টহল। সম্প্রতি রাজধানী আগরতলা শহরের দুটি থানার পুলিশ অফিসারদের দেখা যাচ্ছে দু চার জন বাইক চোর ধরে সাংবাদিকদের সামনে ফটোশুট করছে।আসলে এ সবই যে লোকদেখানো তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে দক্ষিণ ধলেশ্বরের চুরির ঘটনাগুলিতেই। চুরির ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ছুটে গেলেও কাগজে নোট করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি। পুলিশ উল্টো বাড়ির মালিকদের বলে গিয়েছে, কাউকে সন্দেহ করলে নামধাম দিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করার জন্য। এদিকে যাদের বাড়িঘর থেকে চুরি হয়েছে, তাদের স্পষ্ট অভিযোগ রাতের আগরতলায় পুলিশী টহলদারির দিকে। বলছে পুলিশ সক্রিয় থাকলে এই ধরনের চুরির ঘটনা ঘটত না। ধলেশ্বর ও কল্যাণীর চুরির ঘটনায় পূর্ব থানার পুলিশকে আরেকবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। দু একজন চোর ধরে ফটোশুট নয়, বাস্তবে রাতের আগরতলায় বাড়াতে হবে পুলিশি টহল, তবেই হবে পুলিশের সাফল্য অভিমত সংশ্লিষ্ট মহলের।