জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- দেড় বছরের শিশু কন্যাকে বিষ পান করিয়ে নিজেও বিষ খেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ২৪ বর্ষীয়া গৃহবধূ। ঘটনা পি আর বাড়ি থানাধীন শ্রীরামপুর গ্রামের খেদাবাড়ি এলাকায়। পুলিশ মামলা গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করেছে।ভালোবেসে বিয়ে করে ঘর-সংসার করা আর হলো না ২৪ বর্ষীয়া গৃহবধূ স্বস্তি দাসের। পারিবারিক কলহের কারণে নিজের দেড় বছরের শিশু কন্যা দীপিকা দাসকে বিষ খাইয়ে নিজেও প্রথমে বিষ পান করে এবং পরে মৃত্যু সুনিশ্চিত করতে নিজ ঘরের মধ্যে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয় স্বস্তি দাস। পরিবারের লোকজন স্বস্তিদাস এবং তার কন্যাকে দ্রুত চোত্তাখোলা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্বস্তিদাসকে মৃত বলে ঘোষণা করে এবং শিশু কন্যাকে অর্ধমৃত অবস্থায় বিলোনিয়া হাসপাতালে রেফার করে। বিলোনিয়া হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় মাঝপথে মারা যায় দেড় বছরের শিশু কন্যা দীপিকা দাস। জানিয়েছে মৃতার শশুর বিপুল দাস।মর্মান্তিক লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে পি আর বাড়ি থানাধীন দক্ষিণ শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত খেদাবাড়ী এলাকায়। জানা যায় বছর তিনেক আগে খেদাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা রাজিব দাস, নলুয়া এলাকার স্বস্তি দাসকে ভালোবেসে পালিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের পর সুখে শান্তিতে সংসার চলতে থাকলেও কিছুদিন পর দেখা দেয় পারিবারিক অশান্তি। যার পরিণতিতে শনিবার এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, মা মেয়ের এই ঘটনার সময় বাড়িতে কেউ উপস্থিত ছিল না। বাড়ির অন্যান্য লোকেরা রাবার বাগানে কাচা রাবার সংগ্রহের জন্য গিয়েছিল। ফিরে এসেই এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে বলে জানিয়েছে মৃতার ভাসুর মানিক দাস। এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে, চিকিৎসকরাও তাজ্জব বনে যান। জনৈক্ চিকিৎসক জানান, শিশু কন্যাটিকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা গিয়েছে। মর্মান্তিক এই লোমহর্ষক ঘটনায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে দক্ষিণ শ্রীরামপুর এলাকায়। পাশাপাশি এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র চঞ্চল্য। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।