জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- .রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাসের অভিযোগ এনে পুলিশ মহা নির্দেশকের সাথে ডেপুটেশনে মিলিত হলেন বাম কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ। আশ্বাস পেলেন শান্তির পরিবেশ বজায় রাখার। রাজ্যের ত্রয়োদশতম বিধানসভা নির্বাচন প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই সমাপ্ত। সদ্য সমাপ্ত এবারের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে গণনার কাজ অনেকটা নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন। গত ২রা মার্চ নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা হবার পর থেকেই গোটা রাজ্যজুড়ে লাগাতর চলছে রাজনৈতিক সন্ত্রাস। দুর্বৃত্তরা কখনো রাতের আঁধারে, আবার কখনো প্রকাশ্যে দিবালোকেই চালিয়ে আসছে বাড়ি ঘরে ভাঙচুর, লুঠতরাজ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। আর এতে করে আক্রান্ত হচ্ছেন রাজনৈতিক দলের সাধারণ কর্মী সমর্থকরা। সবচেয়ে বেশি যেন আক্রান্তের শিকার বিরোধী দলের কর্মী সমর্থকরা। প্রায় প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রেই চলছে কম বেশি সন্ত্রাসের ঘটনা। পুলিশ প্রশাসন কিছুতেই যেন সন্ত্রাস দমন করতে পারছে না। পুলিশের কড়া নজরদারির মধ্যেই দুর্বৃত্তরা একের পর এক সন্ত্রাস সংঘটিত করে চলেছে।যা নিয়ে এখন উদ্বিগ্ন বিরোধী বাম কংগ্রেস। তাই অবিলম্বে সন্ত্রাস বন্ধ করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দাবিতে এবার সোচ্চার হল বাম কংগ্রেস নেতৃত্ব। সোমবার এই দুই দলের যৌথ উদ্যোগে এক প্রতিনিধি দল রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে দারস্ত হলেন রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশকের। পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলে অন্যতমদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্টের আহ্বায়ক নারায়ণ কর, সিপিআইএম নেতা মানিক দে ও কংগ্রেসের আশিস কুমার সাহা। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এদিন পুলিশের মহা নির্দেশকের সাথে দেখা করে রাজ্যের বর্তমান সন্ত্রাস পরিস্থিতি তুলে ধরে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার দাবী জানান। পুলিশের মহা নির্দেশক প্রতিনিধি দলের সদস্যদের আশ্বাস দেন সন্ত্রাস বন্ধ করার জন্য অভিযোগ পেলেই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে পুলিশ। প্রতিনিধি মূলক ডেপুটেশন শেষে এদিন বামফ্রন্টের আহবায়ক নারায়ন কর সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে জানান, এখনো পর্যন্ত ভোটের ফলাফল ঘোষণা হবার পর থেকে প্রায় সাড়ে ছয়শয়ের অধিক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। চারিদিকে মানুষ আতঙ্কগ্রস্থ। বাড়ি ঘরে হামলা লুটতরাজের পাশাপাশি এখন নতুন সংস্কৃতি আমদানি হয়েছে অগ্নিকাণ্ড। এতে করে মানুষ নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন। অবিলম্বে পুলিশ কঠোর হাতে তা দমন না করলে পরিস্থিতি আগামী দিন আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে।