জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- রহস্য মৃত্যু তিন সন্তানের জননী। এলাকায় তীব্র উত্তেজনা, মারমুখী জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে মৃতার স্বামী ও শাশুড়িকে সেভ কাস্টরিতে রেখেছে পুলিশ। ঘটনা রাজধানীর ছিনাইহানি এলাকায়। বিয়ের পর থেকেই সংসারে নেমে এসেছে অমানিশার চাঁদ। প্রায় প্রতিদিন ঝগড়াঝাটি। শাশুড়ি ননদের অত্যাচার। এরইমধ্যে কোল আলো করে একে একে তিনজন কন্যা সন্তান জন্ম হল। বিধাতার নির্মম পরিহাসে অত্যাচারের মাত্রা আরও দ্বিগুন বেড়ে গেল গৃহবধূ পিংকি দাসের উপর। স্বামী প্রশান্ত ঘোষ গ্রিলের কাজ করে সংসার প্রতি পালন করছে। তবে অশান্তি যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছিল না পরিবর্তে।প্রতিদিন পালা করে চলতো গৃহবধূর ওপর অত্যাচার। সোমবার সকালে রান্নাঘরে পরে রয়েছেন গৃহবধূ পিংকি দাস এর নিথর দেহ। খবর পেয়ে ছুটে আসে এলাকার লোকজন। ছুটে এসেছে পিংকির বাপের বাড়ির লোকজনসহ আত্মীয়-পরিজনেরা। পিংকির মায়ের কান্নায় এলাকার আকাশ বাতাস যেন একাকার হয়ে উঠেছে। মেয়ে হারানোর আর্তনাদে হতভম্ব হয়ে পড়েছে বৃদ্ধা। তবে কি করে ঘটল এই মৃত্যুর ঘটনা , পুলিশ রয়েছে দ্বন্দ্বে। পুলিশ ময়না তদন্তের পরই আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছে ফরেনসিক টিম। ফরেন্সিক টিমের সদস্যরাও তদন্তে নেমেছে। এলাকার এক মহিলার অভিযোগ প্রায়ই পিংকিদের বাড়িতে ঝগড়া লেগে থাকত। গত পরশুদিনও পিংকির স্বামী প্রশান্তের হাত থেকে তাকে বাঁচিয়ে ছিল ওই মহিলা। আজ পিঙ্কির মৃত্যু সংবাদ পেয়ে ছুটে এসেছে সে।আক্ষেপের সঙ্গে বলছে শাশুড়ির সঙ্গে শান্তি পায়নি মেয়েটি। পড়শীরা বলছে পিংকি আর প্রশান্তের মধ্যে বিয়ের আগে থেকেই ছিল গভীর প্রেম। বাড়ির লোকেরা বিষয়টি কিছুতেই মেনে নিয়েছিল না। যাই হোক বিধির বিধান একসময়ের সামাজিকভাবেই যাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই পিংকির জীবনের যবনিকাপাত শুরু। প্রতিদিন শাশুড়ি ননদের অত্যাচার। গত কয়েক বছর ধরে স্বামীও অকথ্য অত্যাচার করতে শুরু করে। শেষ পরিণতি হল মৃত্যু |তিনটি অবুজ কন্যাসন্তানের জীবনে নেমে আসলো কালো ছায়া। বর্তমানে এলাকাবাসীর দাবি কঠোর থেকে কঠোরতম সাজা হোক দোষীদের। কেননা আর যাতে কোনো পিংকির এই নির্মম পরিণতি না হয়।সতর্ক হবে পিংকির শাশুড়িও ননদের মত অন্য শাশুড়ি ও ননদেররা।