জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- ছয় মাস আগে বাড়ি থেকে পরকিয়ার হাত ধরে পাড়ি দিয়েছিল মঙ্গলখালীর লক্ষী। শেষ পর্যন্ত উদ্ধার হল বাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরে তার অর্ধনগ্ন মৃতদেহ। মাস ছয়েক আগে উপযুক্ত তিন সন্তানের জননী ৪৩ বছর বয়স্কা লক্ষ্মী দাস বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। ধর্মনগর থানার অন্তর্গত মঙ্গলখালী গ্রামের তিন নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা লক্ষীর স্বামী পেশায় ছিল দিনমজুর। উপযুক্ত দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে তার। বিবাহিত মেয়ে ও ছেলেদের রেখে স্বামীর সংসার থেকে একদিন স্বামীর অলক্ষ্যেই বাড়ি থেকে পাড়ি দিয়েছিল পরকীয়ার হাত ধরে। ইতিমধ্যেই অসহায় স্বামী ধর্মনগর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিল। পুলিশ কি তদন্ত করেছিল সে বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে সোমবার। গ্রামের বাড়ি থেকে 200 মিটার দূরে সকালে এলাকাবাসী দেখতে পায় লক্ষ্মী দাস এর অর্ধনগ্ন মৃতদেহ। নিখোঁজ হওয়ার পর স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়েছিল বাড়িতে। থানা পুলিশে বেশি খোঁজখবর করতে পারেনি।তারপরেও দু-তিনবার খোঁজ করেছিল। পুলিশ ছিল ঠুঁটো জগন্নাথ। স্ত্রীর পরকীয়ার কিছুই মালুম করতে পারেনি দিনমজুর স্বামী। হতবাক হয়ে পড়ে মৃতদেহ উদ্ধারে। প্রশ্নোত্তরে স্বামী কিছুটা আমতা আমতা ভাবে স্বীকার করেছে। যে নাগরের হাত ধরে পালিয়ে ছিল লক্ষ্মী, সে নাগরের ফোন নাম্বারও দেওয়া হয়েছিল পুলিশকে। পুলিশ নাগরের টিকির নাগাল না পেলেও , জনগণের সহায়তায় উদ্ধার করতে পেরেছে লক্ষ্মীর অর্ধনগ্ন মৃতদেহ। বাকরুদ্ধ লক্ষীর স্বামী। এলাকাবাসীর বক্তব্য সঠিক সময়ে পুলিশ তদন্ত করলে হয়তো আজ এই পরিণতি হতো না লক্ষীর। সন্তানরা হারাতো না তার মাকে আর স্বামী হারাতো না তার স্ত্রীকে। প্রশ্ন উঠছে আদু তদন্ত হবে কিনা এ অপমৃত্যুর। ধরা পড়বে কিনা আসামি। এসব প্রশ্নের উত্তর সময় একদিন দেবে হয়তো।