জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- খুনের ঘটনায় এখন নিত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য। প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যের কোথাও না কোথাও থেকে পুলিশ উদ্ধার করছে লাশ। তবে এবারের উদ্ধার হওয়া লাশ যেন ভয়ংকর।
রহস্যজনকভাবে একই পরিবারের তিনজন ও এক প্রতিবেশী সহ মোট চারজন খুন। আর এই খুনের ঘটনায় গোটা কমলপুর জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি। ঘটনা শনিবার বিকালে কমলপুর থানার অন্তর্গত দুরাই শিববাড়ি পঞ্চায়েতের কাইমাছড়া গ্রামে। ঘটনার সাথে জড়িত সুপ্রিয় দেবনাথকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সুপ্রিয় দেবনাথ নাবালক তার বয়স ১৭ বছর।পিতা হারাধন। যারা খুন হয়েছে তারা হলেন দাদু বাদল দেবনাথ, মা সুমিতা দেবনাথ,বোন সুপর্ণা দেবনাথ ও প্রতিবেশী অঙ্গনওয়াড়ি কর্মরত রেখা দেব। বাড়ির কর্তা পিতা হারাধন দেবনাথ পেশায় একজন গাড়ি চালক। ঘটনার সময় তিনি বাড়িতেই ছিলেন না। শনিবার রাত এগারোটার সময় হারাধন বাড়িতে এসে দেখেন ঘরে রক্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। কেউ বাড়িতে নেই।তখন তিনি বাড়ির পিছনে পায়খানার নতুন গর্তে গিয়ে দেখেন চারটি মৃতদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এই চিত্র দেখে হতবাক হয়ে পড়েন তিনি। পরে তার চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। অত্যন্ত হৃদয়বিদারক মর্মান্তকে এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করে প্রতিবেশীরা সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন কমলপুর থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করে রবিবার সকালে মৃতদেহ গুলি ময়না তদন্তের জন্য বিমলসিংহ মেমোরিয়াল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ধলাই জেলার এসপি রমেশ যাদব সহ পুলিশের অন্যান্য অফিসাররা। এদিকে পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে রবিবার সকালে এই খুনের সাথে জড়িত মূল অভিযুক্ত নাবালক সুপ্রিয় দেবনাথকে হালহালি বাজার থেকে গ্রেপ্তার করে। একই পরিবারের তিনজন সহ প্রতিবেশী নাবালক ছেলের হাতে রহস্যজনক খুন হওয়ার ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা মহকুমা জুড়ে চাঞ্চল্য দেখা দেয়।