জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- এ কোন রাজ্য! এ রাজ্য তালিবানী শাসন কেউ হার মানিয়ে দিচ্ছে। একের পর এক ধর্ষণ খুনের মত নরকীয় ঘটনার পরেও চুপ সরকার। এবার শাসক দলের প্রধান থেকে শুরু করে এলাকার একাংশ মিলে তালিবানি কায়দায় এক নাবালিকা মেয়েকে ঘর থেকে বের করে প্রাণে মারার চেষ্টা এবং তার ভিডিও বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছে। প্রকাশ্য দিবালোকে এলাকার সালিশি সভার মধ্যে এক নাবালিকাকে মারধোর এবং সেই ভিডিও মাধ্যমে ভাইরাল করার মতো নেক্কারজনক ঘটনার সাক্ষী থাকলো তেলিয়ামুড়া বাসী। ঘটনায় সর্বত্র নিন্দার ঝড় উঠেছে, দাবি উঠেছে প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হোক।খবরে প্রকাশ,, তেলিয়ামুড়া থানাধীন ছনলং এলাকার এক উপজাতি নাবালিকা’র সঙ্গে তুইসিন্দ্রাই বাড়ি এলাকার দুই সন্তানের জনকের সঙ্গে প্রণয় ঘটিত সম্পর্কের অভিযোগ উঠে। আর এই ঘটনা কে ঘিরেই গত বুধবার তথা ২রা নভেম্বর হাওয়াইবাড়ি এলাকার প্রধান সহ এলাকার একাংশ শাসক দলীয় নেতাদের উপস্থিতিতে নাবালিকার বাড়িতে বসানো হয় সালিশি সভা। আর এই সালিশি সভা চলাকালীন সময়েই এলাকার এক টি.এস.আর জওয়ান নাবালিকা কন্যাটিকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে আনে। তখন ওই টি.এস.আর জওয়ান তথা বিশ্বজিৎ দেববর্মা সহ এলাকার মহিলা পুরুষ একত্রিত হয়ে নাবালিকার উপর হামলে পড়ে, বেধড়ক প্রহার করে। এবং সেই ঘটনাটি মোবাইলে ক্যামেরা বন্দি করে সেই অভিযুক্ত টি.এস.আর জওয়ান বিশ্বজিৎ দেববর্মার পুত্র, সেই ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করে দেয় বলে অভিযোগ এলাকা সূত্রে। পরবর্তীতে ঘটনাটি বৃহস্পতিবার রাতে তেলিয়ামুড়ার সাংবাদিকদের নজরে আসলে ঘটনাটি পুলিশকে অবগত করে। কালবিলম্ব না করে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ ওই নির্যাতিত নাবালিকার বাড়িতে ছুটে যান। এবং তদন্তে নেমে পড়ে। এদিকে নির্ভরযোগ্য সূত্র মারফত খবর,, এই নাবালিকার সঙ্গে নেক্কারজনক ঘটনাটি যেন তার পরিবার কোন ভাবেই যেন মুখ না খুলে সে কারণে এলাকা থেকে পরিবারের উপর বারবার চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তবে জানা গেছে,ওই নাবালিকার পরিবারের সদস্য সংখ্যা বলতে তিনজন, দুজন’ই দিব্যাঙ্গ।এখন দেখার বিষয় তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ এই ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের শাস্তি প্রদানে কবে নাগাদ ভূমিকা গ্রহণ করে।।