Site icon janatar kalam

পরপর চারটি বোমা বিস্ফোরণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে শহরতলীতে ঘটনায় হতাহতের খবর নেই মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- গভীর রাতে সেকেরকোট চা বাগান এলাকায় সমাজ বিরোধীদের বোমাবাজি। পর পর চারটি বোমা বিস্ফোরনের ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক আতঙ্ক। মঙ্গলবার গভীর রাতে সেকেরকোট চা বাগান এলাকায় সমাজ বিরোধীদের বোমাবাজি। পর পর চারটি বোমা বিস্ফোরনের ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক আতঙ্ক। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে স্থানীয় বিক্রমগর তহশীল কাচারি সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা শুভঙ্কর দের বাড়ির গেইটের সামনে একটি এবং আর একটু দূরে অপর আরেকটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এর পরপরই সেকেরকোট নিউ মার্কেট এবং মোটরস্ট্যান্ডে আরও দুটি বোমা বিস্ফোরণ হয়। নিমিষে বারুদের গন্ধ ছেয়ে যায় গোটা এলাকা। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিলো যে ৪ থেকে ৫ কিমি দূর পর্যন্ত এর শব্দ শোনা গেছে। যদিও এই বিস্ফোরণের ফলে সাধারণ মানুষের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এখন ক্লাবে ক্লাবে দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলের কাজ চলতে থাকায় স্থানীয় ঐকতান সংঘেও প্রচুর লোকের জমায়েত ছিল। বিস্ফোরণের সাথে সাথেই ক্লাব থেকে একত্রিত হয়ে যুবকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরই মধ্যে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বিশালগড়ে গণেশ পূজার উদ্বোধন শেষে আগরতলা ফিরে যাওয়ার পথে তিনিও এই ঘটনার সাক্ষী থাকেন। পরে তিনি গাড়ির কনভয় থামিয়ে ঘটনার খোঁজখবর নিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপারকে পুরো বিষয়টি জানান। এদিকে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা সম্প্রতি এলাকায় সমাজ বিরোধীদের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সেকেরকোট চা-বাগান সংলগ্ন এলাকায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বসে। খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পশ্চিম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, আমতলীর এসডিপিও, এবং আমতলী থানার ওসি সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। ফলে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এই সমাজ দ্রোহীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে জাতীয় সড়ক অবরোধ মুক্ত হয়। পুলিশও স্থানীয়দের অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করে এবং বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করেন। সূত্রের খবর এই বোমাবাজির পেছনে রয়েছে নিগো বাণিজ্য। সেকেরকোট রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড তথা আই.ও.সি.এল এর অয়েল ডিপো তৈরির কাজ চলছে।স্থানীয় এক প্রাক্তন টি.এস.আর কর্মী তথা বর্তমানে এলাকার সমাজদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত মিঠুন এই নির্মাণ কাজ থেকে মোটা অংকের কমিশন দাবি করে ঠিকেদারের কাছ থেকে। কিন্তু এর মধ্যেই পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় সেকেরকোটের স্থানীয় বনেদি ক্লাব ঐকতান সংঘ। তারাও দুর্গাপূজার আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ কিছু টাকা দাবি করে ওই নির্মাণকাজের ঠিকেদারের কাছ থেকে। ফলে দুই দিকের চাপে পড়ে ঠিকেদার ক্লাব কর্তৃপক্ষকে কিছু টাকা দিতে রাজি হলেও মিঠুনকে টাকা দিতে নারাজ বলে খবর। যা কোন মতেই মেনে নিতে পারছে না সমাজদ্রোহী মিঠুন। যার ফলে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে নিজের আধিপত্য জাহির করতেই এই বোমাবাজির কান্ড ঘটানো হয়েছে । ঘটনায় রাত আনুমানিক আড়াইটা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে ছিলেন এসডিপিও সহ আমতলী থানার ওসি। উক্ত ঘটনায় এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

Exit mobile version