Site icon janatar kalam

“অপরাধীদের দলে নেওয়া নেতাদের সাজা কত হবে?”—অমিত শাহকে কেজরিওয়ালের প্রশ্ন

জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির (আপ) আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারকে ঘিরে কড়া জবাব দিলেন।

প্রসঙ্গত, সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিলের পক্ষে সওয়াল করেন। প্রস্তাবিত এই বিল অনুযায়ী, যারা পাঁচ বছরের বেশি সাজাযোগ্য মামলায় জড়িত থেকে ৩০ দিনের বেশি সময় ধরে কারাবন্দি থাকবেন, তাদের আইনসভা থেকে অপসারণ করা যাবে।

অমিত শাহ প্রশ্ন তোলেন— “কোনো মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী যদি দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের বেশি সাজাযোগ্য অপরাধে জেলে থাকেন, তাহলে কি তারা জেল থেকেই সরকার চালাবেন—এটা কতটা সঙ্গত?”

 

এর জবাবে কেজরিওয়াল তীব্র পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন। তিনি বলেন—

“যে নেতা দলে অপরাধীদের জায়গা দেন, তাদের মামলা মুছে দেন এবং পরে তাদের মন্ত্রী, উপ-মুখ্যমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী করেন—সে ধরনের প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রী কি পদে থাকতে পারবেন? তার সাজা কত বছরের হওয়া উচিত?”

আপ নেতা আরও প্রশ্ন তোলেন— “যদি কাউকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে পাঠানো হয় এবং পরে তিনি খালাস পান, তাহলে সেই মিথ্যা মামলার জন্য দায়ী মন্ত্রীর কত বছরের সাজা হওয়া উচিত?”

উল্লেখ্য, দিল্লির কথিত মদনীতি কেলেঙ্কারির মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পরও কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়েননি এবং তিহার জেল থেকেই দায়িত্ব পালন করেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে অমিত শাহ বলেন—

“সংবিধান প্রণেতারা কখনো কল্পনাও করেননি যে কোনো মুখ্যমন্ত্রী জেলে থেকেও সরকার চালাবেন। দিল্লি হাইকোর্টও মন্তব্য করেছিল, নৈতিকতার খাতিরে কেজরিওয়ালের উচিত ছিল পদত্যাগ করা, কিন্তু আইনে তা বাধ্যতামূলক নয়। তাই আমাদের বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রী হোক বা মুখ্যমন্ত্রী, কেউ জেল থেকে সরকার চালাতে পারবেন না।”

এর পাল্টা জবাবে কেজরিওয়ালের কটাক্ষ— “আমি জেল থেকে ১৬০ দিন সরকার চালিয়েছি। কিন্তু সেই সরকারও দিল্লির বর্তমান বিজেপি সরকারের চেয়ে অনেক ভালো ছিল।”

Exit mobile version